ওয়েব ডেস্ক : কদিন আগেই ছবি এঁকে আদালতকে ধর্ষক কাকাকে চিনিয়ে দিয়েছিল ১০ বছরের এক নাবালিকা। বুঝিয়ে দিয়েছিল কীভাবে তাঁর উপর যৌন নির্যাতন চালিয়েছে তার কাকা। এবার আদালতে দাঁড়িয়ে, বার্বি ডলের মাধ্যমে নিজের উপর হওয়া যৌন হেনস্থার বর্ণনা দিল ৫ বছরের শিশু। ওই শিশুর বয়ান অনুযায়ী অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, "বার্বি ডলের গোপনাঙ্গ স্পর্শ করে সে বুঝিয়ে দিয়েছে তার সঙ্গে কী ঘটেছে।"  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আদালতে আসামীপক্ষের আইনজীবীর 'অস্বস্তিকর', 'আপত্তিকর', 'নোংরা' ও 'অশ্লীল' প্রশ্নের সামনে গুটিয়ে জড়সড় হয়ে যায় শিশুটি। কোনওভাবেই কোনও কথা না বলতে চাইলে, তার হাতে তুলে দেওয়া হয় একটি বার্বি পুতুল। পুতুল নিয়ে খেলতে খেলতেই সে বুঝিয়ে দেয় তাকে কীভাবে যৌন হেনস্থার করা হয়েছে। এরপরই অভিযুক্ত, ২৩ বছরের, হানিকে জেলের সাজা শোনায় আদালত।


ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪-র জুলাইতে। দাদার সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার সময় তাকে তুলে নিয়ে যায় হানি। বছর দশেকের দাদার হাতে ১০ টাকা দিয়ে দোকানে পাঠিয়ে, অপহরণ করে ওই শিশুকে। এরপর ওই শিশুর উপর চলে যৌন নির্যাতন, মারধর। তারপর শিশুটির বাড়ির সামনে তাকে ফেলে রেখে দিয়ে চলে যায় সে।


প্রতিবেশী এক মহিলা শিশুটিকে প্রথম দেখতে পায়। স্কুলের স্কার্ট না পরা অবস্থাতেই কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় এদিক-ওদিক ঘুরছিল শিশুটি। বাড়ি নিয়ে আসার পর, ঘটনার আতঙ্কে কথা বন্ধ হয়ে যায় শিশুটির। এমনকী নিজের বাবাকেও সে এড়িয়ে যেতে থাকে। পরে মায়ের কাছে পুরো ঘটনা খুলে বলে সে। ঘটনাস্থলের CCTV ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হয় অভিযুক্তকে। নিম্ন আদালতে তার সাজাও হয়।


এদিকে শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষায় আপত্তি জানিয়েছিল তার মা। উপযুক্ত 'প্রমাণ' ছাড়া এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন, বলে দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন করে অভিযুক্তের আইনজীবী। যদিও শেষপর্যন্ত আদালতে দাঁড়িয়ে বার্বি ডল নিয়ে 'খেলাচ্ছলে' দেওয়া ওই শিশুর 'বয়ান'কেই মান্যতা দেন বিচারপতি। বহাল রাখেন সাজা।


আরও পড়ুন, 'গোমাংস চাই-ই চাই', বিয়ে নাকচ করল কনেপক্ষ