বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে গেল ৬ পরিযায়ী শ্রমিক, দলা পাকানো দেহ পড়ে রইল রাস্তায়!
তিনি বলেন, `গরিব মানুষগুলো প্রাণের দাম কি এতই কম? প্রথমে ট্রেনে পরে বাসে চাপা পড়ে মরতে হবে ওঁদের! সরকার কী করছে?`
নিজস্ব প্রতিবেদন: ঔরঙ্গাবাদের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শিক্ষা মেলেনি এখনও। আরও একবার বলি হতে হল সেই পরিযায়ী শ্রমিকদেরই। বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলেন তাঁরা, কিন্তু সেই যাত্রা হয়ে গেল অন্তহীন। এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর দিয়ে চলে গেল সরকারি বাস। উত্তরপ্রদেশের মুজাফ্ফরনগরে সরকারি বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের, গুরুতর আহত আরও ২। বুধবার রাত ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ৬ জনের মধ্যে দুজনের বাড়ি বিহারে, তাঁরা পঞ্জাব থেকে ফিরছিলেন। আর বাকি চার জনের মধ্যে এক জন গোপালগঞ্জ, একজন পাটনা আরেক জন ভোজপুরের বাসিন্দা। পুলিস জানিয়েছে, বাসে কোনও যাত্রী ছিলেন না। চালক স্বাভাবিকের থেকে অনেক জোরে বাস চালাচ্ছিলেন। তার জেরেই দুর্ঘটনা।
পাল্টে গেল মাইক্রো-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের সংজ্ঞা, ‘আত্মনির্ভরভারত’ তৈরিতে গ্যারেন্টর মোদী সরকার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, বাসটি ঝড়ের গতি আসছিল। সামনে পরিযায়ী শ্রমিকদের দেখেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি চালক। তাঁদের ধাক্কা মেরেই পালিয়ে যায়। বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে যায় ৬ জনের দেহ। দলা পাকিয়ে দেহগুলি পড়েছিল রাস্তাতেই। বাকি চার-পাঁচজন রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছিলেন। এলাকাটি অন্ধকার হওয়ায় ঠিক কত জন রাস্তায় পড়ে ছিলেন, তা বুঝতে পারেননি প্রত্যক্ষদর্শীরাও। পরে তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পর দুঃখপ্রকাশ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দেন, যাতে আর কোনও পরিযায়ী শ্রমিক হেঁটে না বাড়ি ফেরেন, সেব্যাপারে কড়া নজর রাখতে।
তবে এই ঘটনায় সরকারকে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, "গরিব মানুষগুলো প্রাণের দাম কি এতই কম? প্রথমে ট্রেনে পরে বাসে চাপা পড়ে মরতে হবে ওঁদের! সরকার কী করছে?"