নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রায় সাড়ে তিন একর জমির উপর তৈরি শ্রীকৃষ্ণ গোশালা। ১১০০ গরু একসঙ্গে থাকতে পারে এই গোশালায়। শ্রীকৃষ্ণ গোশালায় থাকে মোট ১ হাজার ৮৫০টি গরু। আর সেখানেই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। না খেতে পেয়ে মারা গেল ৮০টি গরু। গোশালার মালিক পক্ষের দাবি, না খেতে পেয়ে তিল তিল করে মারা গিয়েছে গরুগুলি। সরকারের সাহায্য প্রার্থনা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন কোনও সাহাষ্য করেনি। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার জেরে মালিক পক্ষের খাবার জোগাড়ের কোনও পত ছিল না। ফলে গরুগুলি না খেতে তাদের চোখের সামনেই মারা যায়। হরিয়ানার শ্রীকৃষ্ণ গোশালার এমন মর্মান্তিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হরিয়ানার সামালখা চুলাকানা অঞ্চলের শ্রী কৃষ্ণ গোশালায় আরও অনেক গরু রোগাক্রান্ত হয়েছে। মালিক পক্ষ জানাচ্ছে, সেই গরুগুলিও মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। বারবার সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন করেও লাভ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন চলছে। যার ফলে গরুদের খাবার জোগাড় করে উঠতে পারছে না মালিক পক্ষ। তার উপর কোনও গরু রোগে আক্রান্ত হলে তত্ক্ষনাত্ সেটির চিকিত্সা করানোও সম্ভব হয়নি। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। লকডাউনের পর থেকে প্রবল খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে গোশালায়। তবে এরই মধ্যে হরিয়ানার সরকারকে দুষছেন অনেকে। হরিয়ানার সরকার গরুর স্বার্থরক্ষায় একাধিক আইন প্রণয়ন করেছে। এদিকে তাদের রাজ্যেই ৮০টি গরু না খেতে পেয়ে দিনের পর দিন কষ্ট পেয়ে মারা গেল!


আরও পড়ুন- দুটি বিশেষ উপাদান দিয়ে তৈরি তাঁর ওষুধে করোনা দূর হবে, দাবি বাবা রামদেবের


শ্রীকৃষ্ণ গোশালায় গরুদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা মনজের কুলদীপ বলেছেন, এখনও অনেক গরু অসুস্থ। দ্রুত তাদের চিকিত্সা করানো প্রয়োজন। না হলে গরু মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মনজের জানিয়েছেন, অনেক গরু এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে খাবার দিলে উঠে খেতেও পারছে না। গোশালার ছবি শেয়ার হওয়ার পর থেকে অনেক পশুপ্রেমী সরব হয়েছেন। মর্মান্তিক সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গোশালায় মরে পড়ে আছে গরু। আর গরুর মৃতদেহ থেকে মাংস খুবলে খাচ্ছে কুকুর, কাক। পশুপ্রেমীদের একাংশ বলছে, দেশের রাজনীতিতে গরু এখন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে। গরুর জন্য প্রাণ দিতে হয়েছে অনেক মানুষকেও। আর সেই গরুর এমন পরিণতি হচ্ছে এদেশে! এমন দ্বিচারিতা তো মেনে নেওয়া যায় না।