জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক ৮০ বছরের বৃদ্ধা যাঁর দু' পায়ে ঠিক মত দাঁড়ানোর ক্ষমতা নেই, অশক্ত শরীর, হামাগুড়ি দিয়ে চলাফেরা করেন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে নিজে যেতে হয় পেনশন আনতে। প্রায় ২ কিমি পথ হামাগুড়ি দিয়েই পেনশন আনতে পঞ্চায়েত অফিসে যেতে হয়। এগিয়েও আসেন না পঞ্চায়েত অফিসের কেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যা দেখলে চোখে চোখে জল এসে যাবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Kerala|CPM MLA: কেরলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার সিপিএম বিধায়ক!


ওড়িশার কেওনঝড়ের তেলকই ব্লকের বাসিন্দা ৮০ বছরের বৃদ্ধার নাম পাথুরি পাথুরি দেউরি। সিদ্ধান্ত আনন্দ নামের এক ব্যক্তির এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা ওই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা হাঁটু মুড়ে বসে দুই হাতে ভর দিয়ে রাস্তা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। শারীরিক কষ্ট সহ্য করেও তিনি পার্শ্ববর্তী তেলকই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে যাচ্ছেন তাঁর বার্ধক্য ভাতা তুলতে। তাঁর বাড়ি রাইসুয়ান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ওই টাকাতেই তাঁর দিন চলে। সরকারি নির্দেশ রয়েছে যে সমস্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা পেনশন তুলতে আসতে পারবেন না তাঁদের বাড়িতে সেই পেনশন পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে আধিকারিকদের। কিন্তু সেটা হয়নি, বৃদ্ধার বাড়িতে পেনশন পৌঁছে দিতে আসেননি কোনও সরকারি আধিকারিক।


এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেন বৃদ্ধাকে এই অবস্থায় পঞ্চায়েত অফিসে যেতে হবে? সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ওই বৃদ্ধা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত আধিকারিক তাঁকে অফিস থেকেই পেনশন সংগ্রহ তোলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই পেনশনের টাকাতেই আমার দিন চলে। সেকারণে বাধ্য হয়েই তিনি হামাগুড়ি দিয়ে ২ কিমি পথ পেরিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে এসেছিলাম। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তেলকই ব্লকের বিডিও ও রাইসুয়ান গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত আধিকারিককে আগামী মাস থেকে বাড়িতে গিয়েই রেশন ও ভাতার টাকা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 



আরও পড়ুন, Tirupati Laddoo: পশুর চর্বি-মাছের তেলে থোড়াই কেয়ার, ৪ দিনে প্রায় ৪ কোটি টাকার লাড্ডু বেচল তিরুপতি!


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebook