হিন্দি বিতর্ক আবহে ‘স্বশাসিত’-এর মানে বোঝালেন এ আর রহমান
এনডিএ-র শরিক এআইডিএমকে পালটা দাবি তুলে, দেশজুড়ে তামিলকে ঐচ্ছিক ভাষা হিসাবে যুক্ত করতে হবে। ডিএমকে, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একটি শব্দের টুইট। নীচে কেমব্রিজের অভিধানের লিঙ্ক। দেশজুড়ে হিন্দি বিতর্কের আবহে অস্কার খ্যাত সুরাকার এ আর রহমানের এ হেন টুইটে নয়া মাত্রা পেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। দক্ষিণী সুরাকার ও গায়ক এ আর রহমান লেখেন, অটোনোমাস (স্বশাসিত)। কেমব্রিজের অভিধানে ওই শব্দের মানে বলা হয়েছে, “আপনার নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে এমন স্বাধীন অধিকার”। যা হিন্দি বিতর্কে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় মোদী সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে নয়া শিক্ষা নীতির খসড়া গৃহীত হয়। ওই শিক্ষা নীতিতে হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করা হয়। ইংরেজি, হিন্দি এবং আঞ্চলিক ভাষা নিয়ে তিন ভাষা ফরমুলা চালু করার প্রস্তাব রাখা হয়। এর পরই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিশেষ করে দক্ষিণে রাজ্যগুলি পুরনো অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেয়। তাদের স্পষ্ট দাবি, ইংরেজি ও দক্ষিণী ভাষাই স্থান পাবে পাঠ্যক্রমে।
আরও পড়ুন- সব পরীক্ষা সফল না-ও হতে পারে, মহাজোটের ব্যর্থতা নিয়ে বললেন ‘ইঞ্জিনিয়ার’ অখিলেশ
এনডিএ-র শরিক এআইডিএমকে পালটা দাবি তোলে, দেশজুড়ে তামিলকে ঐচ্ছিক ভাষা হিসাবে যুক্ত করতে হবে। ডিএমকে, কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে।
কার্যত চাপে পড়েই সিদ্ধান্ত বদল করে মোদী সরকার। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, হিন্দি ঐচ্ছিক ভাষা হিসাবে গণ্য হবে। তিন ভাষা ফরমুলা হিন্দি বাধ্যতামূলক হচ্ছে না বলে জানায় কেন্দ্র। এর পরই এ আর রহমান আরও একটি টুইটে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। উল্লেখ্য, এর আগে হিন্দি ভাষাকে চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে দক্ষিণী রাজ্যগুলিতে বিতর্কে ঝড় ওঠে। ১৯৩৭ থেকে ৪০ ও ১৯৬৫ সালে বড়সড় আন্দোলনে নামে গোটা দক্ষিণ ভারত।