নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ ঝাড়খন্ড। কাল দিল্লি, বিহার? এই হার কতদূর ধাক্কা দেবে বিজেপিকে? ধীরে ধীরে মুছে যাচ্ছে গেরুয়া। দেড় বছর আগে সত্তর শতাংশ ভারত ছিল বিজেপির ভাগে। ২০২০ মুখে মাত্র এক তৃতীয়াংশ রাজ্যে বিজেপি। হাতছাড়ার তালিকায় নবতম সংযোজন ঝাড়খন্ড।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংখ্যার জোরে একের পর এক আইন সংসদে পাস করিয়ে নিচ্ছেন অমিত শাহ। রাজ্যসভাতেও আর আসন সংখ্যার বাধা নেই। সেই পরিস্থিতিতে এই অবস্থা কিছুটা অবাক করে বৈকি। হিসেব বলছে, ঝাড়খন্ড থেকে রাজ্যসভায় একজনও সাংসদ পাঠানোর ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলেছে বিজেপি। রাজ্যসভায় ঝাড়খন্ডের কোটা ৬, বিধানসভায় মোট আসন সংখ্যা ৮১। ২০২০, ২০২২, ২০২৪ সালে ঝাড়খণ্ডে ২ টি করে আসনে ভোট হবে।   একটি রাজ্যসভা আসনে জিততে কমপক্ষে ২৮ বিধায়কের ভোট প্রয়োজন। ঝাড়খন্ড বিধানসভায় বিজেপির নির্বাচিত বিধায়ক সংখ্যা ২৫।


একার জোরে রাজ্যসভায় সাংসদ পাঠানোর ক্ষমতা বিজেপির আর নেই। ঝাড়খন্ড বিকাশ মোর্চার তিন বিধায়কের সমর্থন পেলে বিজেপি তিন সাংসদ পাঠাতে পারবে। বছরের শেষ নির্বাচনে পরাজয়, পরের ভোটগুলির মনোবলেও ধাক্কা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ২০২০ তে দিল্লিতে কেজরিওয়াল ফেভারিট হয়েই নির্বাচনী পরীক্ষায় নামবেন।


CAA ও NCR বিরোধী আন্দোলনের জেরে দিল্লিতে বিজেপি বেশ কোণঠাসা। বিহারে বিজেপিকে লড়তে হবে ছোট শরিক হিসেবে, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে। বিজেপির করুণ সময়ে নীতীশ কুমার আসন ভাগাভাগিতে বেশি দরাদরি করবেন। লোকসভা নির্বাচনে বিশাল জয়ের মাত্র ছমাসের মধ্যেই দেশজুড়ে বেকায়দায় বিজেপি। বিরোধীরা দ্বিগুণ উজ্জীবিত। দিল্লির রাজঘাটে কংগ্রেসের সত্যাগ্রহে দেখা গেছে বাড়তি এনার্জি।


আরও পড়ুন- সিএএ-এনআরসি হল গরিবদের জন্য ‘ট্যাক্স’, কেন্দ্রকে খোঁচা রা-হুলের


মাত্র ছমাস আগেও বিজেপির যে পরিস্থিতি ছিল এখন তা নেই। লোকসভা ভোটের আগে তিন। পরে তিন। মোট ছয় রাজ্যে খারাপ পারফরম্যান্স পদ্মপার্টির নেতাদের আত্মবিশ্বাসকে যথেষ্টই ধাক্কা দিয়েছে। কিন্তু, রথের চাকা উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার যে দাবি বিরোধী শিবির করছে তাও বোধহয় অতি সরলীকরণ। অতীতে বহুবার কঠিন পরিস্থিতি থেকে কামব্যাক করে দেখিয়েছে মোদী-অমিত শাহ জুটি। বিজেপি ঘুরে দাঁড়াতেই পারে। তবে এখন তারা বেকায়দায়। বেশ বেকায়দায়।