সিএএ-এনআরসি হল গরিবদের জন্য ‘ট্যাক্স’, কেন্দ্রকে খোঁচা 'রা-হুলের'
নোটবন্দির মতোই এনআরসি এবং সিএএ হলো গরিবদের জন্য ‘ট্যাক্স’। মোদী সরকারকে এভাবেই নিশানা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ছত্তীসগঢ়ে এক অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষের অবদান না থাকলে, দেশ চলতে পারে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোটবন্দির মতোই এনআরসি এবং সিএএ হলো গরিবদের জন্য ‘ট্যাক্স’। মোদী সরকারকে এভাবেই নিশানা করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ছত্তীসগঢ়ে এক অনুষ্ঠানে রাহুল বলেন, সমাজের বিভিন্ন স্তরে মানুষের অবদান না থাকলে, দেশ চলতে পারে না।
কংগ্রেস সাংসদ জানান, প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন না, এ সব করে আদতে দেশের সময় নষ্ট হচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে ভারত এবং চিনকে এক সরলরেখায় দেখতে অভ্যস্ত ছিল বিশ্ব। কিন্তু এখন বিশ্ব দেখছে ভারতে ক্রমবর্ধমান হিংসা, নারীদের নিরাপত্তাহীনতা, বেকারত্ব বৃদ্ধির মতো ইস্যু।
আরও পড়ুন-হিংসা থেকে বিরত থাকার বার্তা রাজনীতি নয়, সেনা প্রধানের পাশে দাঁড়ালেন ভি কে সিং
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই দেশ জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ তৈরি হয়। আগেই অসমে এনআরসি হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কায় ভুগছিল অধিকাংশ মানুষ। এরপর জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি দোসর হওয়ায় আরও বিভ্রান্তি ছড়ায়। বিরোধীরা দাবি করেন, এনআরসি-র প্রথম ধাপ এনপিআর। মোদী সরকারের এনপিআর-এ এমন কিছু নতুন তথ্য চাওয়া হচ্ছে, যা বিপজ্জনক হতে পারে বলে দাবি করছেন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, সরকারের এই পদক্ষেপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে গরিব মানুষ। তাঁর কথায়, নথিতে সামন্য ভুল থাকলে গরিব মানুষদের কাছ থেকে ঘুষ নেবে সরকারি অফিসাররা। এই সময় গরিবদের পকেট থেকে কয়েক কোটি টাকা লুঠ হয়ে যাবে। এটাই সত্যি বলে দাবি করেন তিনি।