নিজস্ব প্রতিনিধি: পুলওয়ামার হামলার প্রতিবাদে ফুঁসছে গোটা দেশ। সকলেই চাইছে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকাল থেকেই পাকিস্তানকে দফায় দফায় কড়া বার্তা দেওয়ার কাজ শুরু করেছে মোদী সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: ‘কোনও মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িও না’, যুবকদের পরামর্শ দিত জঙ্গি আদিল


শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লির নর্থব্লকে বিদেশমন্ত্রকে ডেকে পাঠানো হয় ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার সোহেল মাহমুদকে। তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে।


বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে হামলা নিয়ে পাক হাই কমিশনারকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে পাকিস্তানের এ নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত বলে তাঁকে জানানো হয়েছে ভারতের তরফে।



ভারতের তরফে পাকিস্তানকে বার্তা, অবিলম্বে জইশ-ই-মহম্মদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও সন্ত্রাসবাদ দমনে নিতে হবে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।


পুলওয়ামার ঘটনার পর পাকিস্তানের তরফে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। হামলার নিন্দা করা হয়েছিল। পাশাপাশি ভারত সরকার ও ভারতের মিডিয়া যেভাবে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলছিল, সেই অভিযোগ খারিজ করেছিল ইমরান খানের দেশ।



এদিন নর্থ ব্লকে পাক হাইকমিশনারের সামনে সেই প্রসঙ্গও তোলেন বিদেশ সচিব। ভারত যে পাকিস্তানের বক্তব্যের সঙ্গে একমত  নয়, তাও জানিয়ে দেওয়া হয় ওই পাক কূটনীতিককে।


আরও পড়ুন: পুলওয়ামার শহিদের কফিন কাঁধে বইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, দেখুন ভিডিয়ো    


এর আগে শুক্রবার সকালেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একদফা কড়া পদক্ষেপ করেছিল মোদী সরকার। পুলওয়ামার হামলার প্রেক্ষিতে এদিন সকালে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠক হয়।


সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, তিন বাহিনীর প্রধান-সহ আরও বেশ কয়েকজন। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পাকিস্তানের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হবে মোস্ট ফেবার্ড নেশনের তকমা।


আরও পড়ুন: দেশমাতার জন্য আমার আর এক সন্তানকেও উত্সর্গ করতে প্রস্তুত, বললেন শহিদ জওয়ানের বাবা


অরুণ জেটলি সেকথা জানান পরে। বাণিজ্যমন্ত্রক এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে। ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত বাণিজ্য সম্পর্ক শেষ করতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিকস্তরে পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কী করে সেটাই দেখার।