`১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী বাছতে পারলে জীবনসঙ্গী নয় কেন?`` মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃদ্ধির বিরোধিতায় ওয়াইসি
ওয়াইসি শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন একজন ১৮ বছর বয়সি মেয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারেন তাহলে জীবনসঙ্গীও নির্বাচন করতে পারবেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুধবারই মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। যদিও কেন্দ্রীয় এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন একাধিক নেতা। এআইএমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়াইসি শুক্রবার কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে কটাক্ষ করে বলেছেন একজন ১৮ বছর বয়সি মেয়ে যদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে পারেন তাহলে জীবনসঙ্গীও নির্বাচন করতে পারবেন।
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকারের পিতৃত্ববাদের এটি একটি খুব ভাল উদাহরণ। ১৮ বছর বয়সে একজন মেয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, ব্যবসা শুরু করতে পারে, প্রধানমন্ত্রী-সাংসদ বিধায়ক নির্বাচন করতে পারে। তাহলে জীবনসঙ্গী নয় কেন? আমি মনে করি যে ছেলেদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা উচিত।"
আরও পড়ুন, Karnataka Assembly: 'ধর্ষণ আটকাতে না পারলে উপভোগ করতে হয়', কংগ্রেস নেতার বেনজির মন্তব্যে বিতর্ক
মোদী সরকারের এই বয়স সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতা। যে মন্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে বিতর্ক। সৈয়দ তুফায়েল হাসান বলেছেন, "১৬ বছরেই মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়।" তিনি এও বলেন, "মহিলারা ১৬-১৭ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। বয়স বেশি হলে দু’ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। প্রথমত, বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা। দ্বিতীয়ত, সন্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া। যা প্রকৃতির নিয়ম বিরুদ্ধ।"
গত বছরের জুনে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে মেয়েদের ন্যূনতম বিয়ের বয়স কত হওয়া উচিত তা ঠিক করার জন্য। গত বছর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী মোদী এই প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, "মা ও বোনেদের স্বাস্থ্য নিয়ে এই সরকার উদ্বিগ্ন। মেয়েদের অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে হলে তাদের সঠিক বয়সে বিয়ে করা প্রয়োজন।" কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্যসভার একাধিক সাংসদরা।