৫ বছরের শিশুর অঙ্গদানে বাঁচল দুই প্রাণ, চিকিৎসা বিজ্ঞানে নজির দেশে
অঙ্গদানের কথা শোনা গেলেও তা মূলত একটি বয়সের সঙ্গে পর দেওয়া হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রক্তদান যেমন জীবন দান, তেমন অঙ্গদানও জীবন দান বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে। অঙ্গদানের কথা শোনা গেলেও তা মূলত একটি বয়সের সঙ্গে পর দেওয়া হয়। কিন্তু তাই বলে ৫ বছরের বাচ্চার অঙ্গ দান সচরাচর শোনা যায় না। এমনই ঘটনা ঘটল দিল্লির এইমস এ। নয়ডা সেক্টরের একটি শিশুকন্যার এই ঘটনাটিই নজির হয়ে রইল।
জানা যায় বুধবার নয়ডার নিজের বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনার পরই তাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসকরা দেখেন যে তার মাথার ভিতরে ততক্ষণে দুটি হাড় ভেঙে চুরমার। চিকিৎসার আগেই কোমায় চলে যায় ওই শিশুটি। এরপর তাকে এইমস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দু দিন ধরে সেখানেই চলে যমে-মানুষে টানাটানি।
কিন্তু তারপরও প্রাণে বাঁচানো যায়নি ৫ বছরের বাচ্চাটিকে। এরপর শুক্রবারই তার ব্রেন ডেথ হয়। এরপর এইমস এর বর্ষীয়ান স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা দীপক গুপ্ত ওই শিশুর পরিবারকে অঙ্গদানের কথা বলেন। বাচ্চাটির মা বাবা প্রাথমিকভাবে নাকচ করলেও পরে তারা রাজি হন।
শিশুকন্যার দান করা দুটি কিডনিতে আরও দুটি শিশু প্রাণ ফিরে পেয়েছে৷ জানা গিয়েছে তারা লিভারের জটিল অসুখে ভুগছিলেন। ওই ৫ বছরের শিশুর দেহ থেকে পাওয়া অঙ্গেই প্রাণ ফিরে পেয়েছেন তারা৷ ওদিকে কোমায় চলে যাওয়া শিশুটির মা-বাবা জানিয়েছেন তাদের মেয়ের অঙ্গে যদি আরও প্রাণ বাঁচে তবে তাদের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন তাদের শিশুকন্যা।
আরও পড়ুন, মোদী-মমতা সাক্ষাত বিচারপতিদের সম্মেলনে, একান্তে আলোচনা কিছুক্ষন