মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ‘বিদ্রোহী’ অজিত পাওয়ার, মন্ত্রী হতে পারেন আদিত্য ঠাকরে
দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় এনে ফেলেছিলেন অজিত পাওয়ার
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ২ মাসের মধ্যে দুবার। ফের মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন বিদ্রোহী অজিত পাওয়ার। প্রথমবার দেবেন্দ্র ফড়ণবীস মন্ত্রিসভায়। আর এবার উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হলেন শরদ পাওয়ারের ভাইপো।
আরও পড়ুন-
সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করলেন উদ্ধব ঠাকরে। পূর্ণ সময়ের ও প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন মোট ৩৬ বিধায়ক। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বণ। উদ্ধব ঠাকরে মন্ত্রিসভায় স্থান পেলেন কংগ্রেসের কে সি পাদভি, বিজয় ওয়াদেতিয়ার, অমিত দেশমুখ, সুনীল কাদার, যশোমতী ঠাকুর, আসলাম সেখের মতো নেতা।
ওরলির বিধায়ক ও উদ্ধব ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরেও মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। তাঁকে দেওয়া হতে পারে উচ্চশিক্ষা কিংবা পরিবেশের মতো দফতর। মহরাষ্ট্র বিধানসভা মোট ৪৩ জন বিধায়ক মন্ত্রী হতে পারেন। প্রতিমন্ত্রীর সংখ্যা ১৫ বেশি হবে না। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন অনেকেই। উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন সোমবার ২৪ পূর্ণমন্ত্রী ও ১০ প্রতিমন্ত্রী শপথ নেবেন।
আরও পড়ুন-পুলওয়ামা হামলা থেকে নাগরিকত্ব আইন, একনজরে ২০১৯-এর তোলপাড় করা ১০ ঘটনা
রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর তালিকায় থাকছেন আব্দুল সাত্তার, বান্টি পাটিল, সাভুরাজে দেশাই, বাচ্চু কাডু, বিশ্বিজত কদম, দত্তত্রেয় বারনে, অদিতি ঠাকরে, সঞ্জয় বানসোডে, প্রজক্ত তানপুরে, রাজেন্দ্র পাটিল।
আরও পড়ুন-আজ মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণে চমক, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’ অজিত পাওয়ার
মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে, বিধায়ক ভাঙিয়ে বিজেপিকে ফের ক্ষমতায় এনে ফেলেছিলেন অজিত পাওয়ার। বরাবরের বিদ্রোহী অজিত পাওয়ারের কথার ওপরে ভর করেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে নেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। কিন্তু ওই শপথগ্রহণের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যায় এনসিপি, শিবসেনা ও কংগ্রেস। বিজেপিকে তার সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বলে আদালত। সেদিকে আর পা বাড়াননি ফড়ণবীস ও উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। বরং পদত্যাগ করে এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা জোটের ক্ষমতায় আসার পথ সাফ করে দেন। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় অজিত পাওয়ারকে নিয়ে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁকেও ম্যানেজ করে ফেলেন শরদ পাওয়ার। সেই পাওয়ারকেই উপ মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিয়ে শান্ত করলেন শরদ-উদ্ধব।