নিজস্ব প্রতিবেদন: চরণসিং বিমানবন্দরে পা দিলেন কিন্তু বিমান না ধরেই ফিরতে হল সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবকে। বিমানের সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে দেখেন দাঁড়িয়ে যোগীর পুলিস। ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিউনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে তাঁর অনুমতি না থাকায়, বিমানবন্দরেই রুখে দেওয়া হয় অখিলেশকে। এর পর বিমানবন্দরে একঝাঁক পুলিসের সঙ্গে বাদানুবাদ জড়িয়ে পড়েন তিনি। টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করেন অখিলেশ নিজেই। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সমাজবাদী দলের সদস্যরা। লখনউতে তাদের সঙ্গে রীতিমত ধস্তাধস্তি বেধে যায় পুলিসের।  অখিলেশের অভিযোগ, তাঁকে লখনউ বিমানবন্দরে আটক করা হয়। যোগীর সরকার ভয় পেয়েই এমন কাজ করছেন বলে জানান সপা সুপ্রিমো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- কক্ষের এক কোণে বসে থাকুন, আদালত অবমাননায় নাগেশ্বরকে ‘নজিরবিহীন’ শাস্তি সুপ্রিম কোর্টের


যাচ্ছিলেন ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে। সমাজবাদী পার্টির ছাত্র সংগঠন শাখা ‘ছাত্র সভা’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনয়নের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করে। তারই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অখিলেশের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। অখিলেশের অভিযোগ, ভয় পাচ্ছে বিজেপি। আড়াই জন মানুষের রিমোট কন্ট্রলে এমন কাজ করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নিয়ে গত বছর ডিসেম্বরে জানানো হয়, তার পরও সরকার বিষয়টিকে ঝুলিয়ে রেখেছে। এমনকি অখিলেশের বিস্ফোরক দাবি, তাঁর বাড়িতে নজরদারি বসানো হচ্ছে। ইলাহাবাদে তাঁর অনুষ্ঠান স্থলের কাছে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে এমনকি ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।



আরও পড়ুন- বঙ্গ-বিজেপির কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, গুজরাট থেকে সরব অমিত শাহ


অখিলেশের অভিযোগ, সোমবার রাত থেকেই যোগী সরকারের পুলিস তাঁর ওপর  নজরে রাখছিল। অখিলেশের যাত্রাভঙ্গে খবর ছড়াতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায় উত্তর প্রদেশে। প্রয়াগরাজ থেকে লখনউ। রাস্তা নামেন সমাজবাদী দলের কর্মীরা। পুলিসের সঙ্গে ধুন্ধুমার বেধে যায় তাদের। আহত হন দলের সাংসদ  ধর্মেন্দ্র যাদব। লখনউতে রাজভবনের বাইরেও ধরনায় বসেন তারা।  যোগীর যুক্তি, অখিলেশের সফরে ক্যাম্পাসে অশান্তির আশঙ্কা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই তার সরকার এ কাজ করেছে।


আরও পড়ুন- মাকে ইডির জেরা নিয়ে ক্ষোভ প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরার


বাবুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন বুয়া মায়াবতী। তাঁর দাবি, সপা-বসপা জোটকে ভয় পেয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিজেপি সরকার। তাই তাদের কোণঠাসা করতে অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কলকাতা থেকে তোপ দেগেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।  অখিলেশ ইস্যুর আঁচে উত্তপ্ত রাজ্যসভাও। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান সপা-বসপা সাংসদরা। সমর্থন করে তৃণমূল কংগ্রেসও। বুধবার রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবেন অখিলেশ যাদব।