৫ রাজ্যের নির্বাচন, রাজনৈতিক সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা বাড়ল ২২ জানুয়ারী পর্যন্ত
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব এবং পাঁচটি নির্বাচনী রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য সচিবরা শনিবার ইসিকে জানিয়েছেন যে সংক্রমণ এখনও ছড়াচ্ছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোভিড -১৯ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে নির্বাচন কমিশন (EC) পাঁচটি নির্বাচনী রাজ্যে রাজনৈতিক সমাবেশের নিষেধাজ্ঞা ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছে। গত সপ্তাহে, ইসি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, গোয়া এবং মণিপুরে ১৫ জানুয়ারী পর্যন্ত সমাবেশ, রোডশো এবং কর্নার মিটিং-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব এবং পাঁচটি নির্বাচনী রাজ্যের প্রধান স্বাস্থ্য সচিবরা শনিবার ইসিকে জানিয়েছেন যে সংক্রমণ এখনও ছড়াচ্ছে।
যদিও ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের তীব্রতা ডেল্টার মতো মারাত্মক নয়, তবে বিধিনিষেধগুলি শিথিল করা এখনই উপযুক্ত হবে না। বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনকে এই কথা বলা হয়। এরপরেই সমাবেশ-মিছিলে নিষেধাজ্ঞা অন্তত আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
যদিও, পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কমিশন কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। কোনও হলের মধ্যে ৩০০ জনের মিটিং অথবা হলের ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ অথবা SDMA দ্বারা নির্ধারিত সীমায় জনসাধারণের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নেতাজিকে ঘিরে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে 'বাতিল' বাংলার ট্যাবলো
রাজনৈতিক দলগুলিকে অবশ্যই কোভিড-১৯ আচরণবিধি, নির্দেশিকা এবং নির্বাচন সংক্রান্ত ইভেন্টের সময় সকল অনুষ্ঠানে আদর্শ আচরণবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
৮ জানুয়ারী জারি করা নির্বাচন পরিচালনার জন্য সংশোধিত বিস্তৃত নির্দেশিকায় থাকা সমস্ত অবশিষ্ট বিধিনিষেধ অবশ্যই কার্যকর হতে হবে।
উত্তরপ্রদেশে, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত সাত দফায় ৪০৩টি বিধানসভা আসনের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মণিপুরের ৬০টি আসনে দুটি দফায় ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, গোয়ায় ৪০টি আসন, পঞ্জাবে ১১৭টি আসন এবং উত্তরাখণ্ডে ৭০টি আসনে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে৷ পাঁচটি রাজ্যে ভোট গণনা হবে ১০ মার্চ।
নির্বাচন কমিশন কোভিড -১৯ সংক্রমণ রোধ করার জন্য বিজয় উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে। বিজয়ী শংসাপত্র সংগ্রহের জন্য প্রার্থীর সঙ্গে কেবল দুজনকে যেতে দেওয়া হবে। সিইসি সুশীল চন্দ্র ৮ জানুয়ারি নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার সময় এই ঘোষণা করেন।