কেরলের পর রাজস্থানে `লাভ জিহাদ`, মা-বাবাকে চিনতে অস্বীকার করল মেয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেরলের পর এবার লাভ জিহাদের অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। জোধপুরের বাসিন্দা ২২ বছরের পায়েল সিংভির অভিভাবকদের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে ব্ল্যাকমেল করে বিয়ে করেছেন এক মুসলিম যুবক। পরিবারকেও চিনতে অস্বীকার করছেন পায়েল। অভিযুক্ত যুবক ফৈয়াজ মোদীর পরিবার এব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ।
২২ বছরের পায়েল সিংভি বাণিজ্যে স্নাতক। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। এরপর হঠাত্ ফৈয়াজ মোদী নামে এক যুবককে বিয়ে করে ধর্মান্তিরত হন তিনি। পায়েল এখন আরিফা। পায়েলের ভাই চিরাগ সিঙ্ঘভির কথায়, ''ফৈয়াজ ও পায়েল এক স্কুল পড়ত। ছ'মাস আগে পায়েল জানিয়েছিল, ফৈয়াজ কয়েকটি ছবি দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছে। আমরা ওর বাবাকে গিয়ে বলেছিলাম। তখন ফৈয়াজের বাবা ক্ষমা চেয়েছিলেন।''
আরও পড়ুন, 'লাভ জিহাদ' মামলায় হাদিয়ার প্রকাশ্য জবানবন্দি শুনবে সুপ্রিম কোর্ট
চিরাগের অভিযোগ, পায়েলকে ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করা হয়েছে। তাঁর মগজ ধোলাই করেছে ফৈয়াজ মোদী। যে হলফনামায় ধর্ম পরিবর্তন করেছেন বলে দাবি করেছেন পায়েল, সেটি ভুয়ো। চিরাগ জানান, ১৪ এপ্রিল তাঁদের বিয়ে হয়েছিল বলে দাবি করেছে ফৈয়াজ। ১৭ এপ্রিল পায়েলের ধর্মান্তরন হয়। অথচ ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গেই ছিলেন পায়েল।
জোর করে বিয়ে, আটকে রাখা ও ব্ল্যাকমেলের অভিযোগে ফৈয়াজ মোদীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে রাজস্থান পুলিস। আপাতত পায়েলকে মহিলাদের হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। যদিও প্রথমে পুলিস অভিযোগ নিতে চাইছিল না বলে অভিযোগ করেছে পায়েলের পরিবার। গোটা ঘটনায় ভেঙে পড়েছেন পায়েলের মা। হাইকোর্টে হিজাব পরে এসে বাবা-মাকেই চিনতে অস্বীকার করেছেন পায়েল সিংভি ওরফে আরিফা। শান্তশিষ্ট মেয়েটি যে এমনভাবে বদলে যাবে, ভাবতে পারেননি মা। তিনি নাওয়া-খাওয়া ছেড়েছেন।
মামলার শুনানি চলাকালে হাইকোর্টের বাইরে বিক্ষোভ দেখায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। ভিএইচপি নেতা মুকেশের দাবি, যোধপুরে মুসলিম যুবকদের লাভ জিহাদ করার জন্য বিশাল টাকা দেওয়া হচ্ছে। ধর্মান্তরিত করার পর মেয়েদের বেআইনি কাজে লাগাচ্ছে তারা। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে তাঁর অভিযোগ। লাভ জিহাদ নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে এনআইএ-কে।
আরও পড়ুন, 'লাভ জিহাদ'-এর তদন্ত করবে এনআইএ, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের