কোভিডে বেকারত্ব নিয়ে প্রকাশিত CMIE রিপোর্ট `ভুল`, সরব বিজেপি
বেকারত্ব নিয়ে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেই তথ্যকে `ভুল` হিসেবে উল্লেখ করে এবার সরব হল বিজেপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বেকারত্ব নিয়ে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সেই তথ্যকে 'ভুল' হিসেবে উল্লেখ করে এবার সরব হল বিজেপি। রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশে চাকরি খুইয়েছেন প্রায় ১ কোটি। পাশাপাশি ৯৭% পরিবারে আয় হ্রাস পেয়েছে।
এই তথ্যকে 'ভুল' দেগে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, "চাকরি ও বেকারত্ব নিয়ে সিএমআইই (CMIE) রিয়েল টাইম প্রক্রিয়া না করে নিরীক্ষণ করেছে। এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে কোভিড ঝড় শুরু হয়েছে। এখন জুনের শুরু। আর এখনই এপ্রিল এবং মে মাসের সব তথ্য পেয়ে গিয়েছে এই বেসরকারি সংস্থা? কংগ্রেস কি তবে সিএমআইইকে এনে এই কাজ করাচ্ছে?"
এখানেই ক্ষান্ত থাকেননি অমিত মালব্য। বিজেপির হয়ে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, "সংবাদমাধ্যম এই রিপোর্টকে অবৈধভাবে উদ্ধৃত করেছে।"
প্রসঙ্গত, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE) প্রধান মহেশ ব্যাস সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান যে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন মে মাসে দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়াবে ১২ শতাংশ, যা এপ্রিলে ছিল ৮ শতাংশ। করোনাভাইরাসের রেশ শুধু শরীরে নয়, আর্থিক ক্ষেত্রেও চরমভাবে প্রকাশিত হয়েছে। করোনা যেমন প্রাণ কেড়েছে, তেমন বহু চাকরিও কেড়েছে৷ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কায় চাকরি ও আয়ের ক্ষেত্র টালমাটাল। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় একাধিক রাজ্যে লকডাউনও বৃদ্ধি পেয়েছে। যার মারাত্মক প্রভাব পড়েছে কর্মক্ষেত্রে৷
মহেশ ব্যাসের কথায় কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এর ধাক্কায় এমনটা হয়েছে৷ তবে আর্থিক ক্ষেত্র ফের স্বাভাবিক হলেও চাকরির ক্ষেত্র স্বাভাবিক হবে কি না তা নিয়ে সংশয়ের সুর শোনা গিয়েছে৷
এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ''বিজেপি এখানে পক্ষপাতদুষ্ট ভিত্তিহীন কথা বলছে। যে রিপোর্ট এসেছে তা খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি আমাদেরও। কিন্তু যা অনুমান করা হচ্ছিল পরিসংখ্যানও তাই বলছে। কোভিড মোকাবিলা ও অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতার প্রতিফলই এই রিপোর্ট।''
আরও এক বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, ''সিএমআই বলে যে সংস্থা তাদের রিপোর্টের ভিত্তি কতটা আমরা জানিনা। তারা একটা সংখ্যা বলে দিচ্ছে। কিন্তু কীভাবে সার্ভে করল। কোভিডের ফলে ভারতের অর্থব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ছে ঠিকই কিন্তু এই সমস্ত রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।''