নিজস্ব প্রতিবেদন : রাহুল গান্ধীর রাজনীতি করার ধরন অত্যন্ত অগণতান্ত্রিক। আর তাই তিনি সংসদের অধিবেশনের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন। শুক্রবার দিল্লিতে বিজেপির সংসদীয় বোর্ড মিটিংয়ের পর এমনই মন্তব্য করলেন দলের সভাপতি অমিত শাহ। বৈঠকে অমিত শাহ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এবং বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা লাল কৃষ্ণ আদবানী-সহ দলের প্রথম সারির নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৈঠকে বিজেপি সভাপতির নির্দেশ এখন থেকে প্রতিটি এলাকায় নজর দিতে হবে কৃষক ও মধ্যবিত্তদের উন্নয়নে। বিশেষ করে ২০১৮ ও ২০১৯-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে।


আরও পড়ুন- দেশভাগের জন্য দায়ী কংগ্রেস, তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না, লোকসভায় বললেন মোদী


বুধবার সংসদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ছিল দেশভাগ থেকে দেশের সমকালীন অবস্থা। আর এ সবের জন্য নাম না করেই নেহেরু-গান্ধী পরিবারকে কাঠগড়ায় তোলেন মোদী। তিনি বলেন, "ক্ষমতা দখলের তাড়াহুড়োয় দেশভাগ করেছে কংগ্রেস। দেশভাগের ফলে যে বিষবৃক্ষের বীজ পোঁতা হয়েছিল তার কুফল এখনো ভুগছে দেশ।" তাঁর কথায়, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল প্রধানমন্ত্রী হলে দেশভাগ রোখা ‌যেত। কিন্তু একটি পরিবারের প্রতি আনুগত্য প্রমাণের প্রতি‌যোগিতায় তা করতে দেননি কংগ্রেস নেতারা। এমনকী রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেস সভাপতি করা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, যে দলে সভাপতি নির্বাচনে একটি পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়ন পেশ করতে পারে না তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।


এদিকে, নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য চলাকালীন স্লোগান দিতে শোনা যায় কংগ্রেস শিবির থেকে। এমনকী অনেক সময় অশালীনভাবে আওয়াজ করতেও শোনা ‌যায় তাদের, বলে অভিযোগ বিজেপি শিবিরের।


এই বিষয়টি নিয়েই শুক্রবার মুখ খোলেন বিজেপি সভাপতি। তিনি বলেন, সংসদে সাধারণ গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে জানে না কংগ্রেস। সেই দলের প্রধানের রাজনৈতিক চেতনাও যে অগণতান্ত্রিক হবে সেটাই স্বাভাবিক।