নিজস্ব প্রতিবেদন: হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে বিজেপির রথযাত্রার ভাগ্য। কিন্তু আর ধৈর্য্য ধরতে নারাজ অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপিকে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে বিজেপিকে রথযাত্রার অনুমতি দেয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে কয়েকটি শর্তও দেয় আদালত। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ফের হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। প্রধন বিচারপতির প্রশ্ন তোলেন, “সব রিপোর্ট খতিয়ে না দেখে কী করে রায়?”একইসঙ্গে তাঁর নির্দেশ, এবার সব গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে হবে। হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি এদিন অমিত শাহকে দেখান রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সূত্রের খবর, কৈলাসকে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার নির্দেশ দেন অমিত শাহ। ফলে রথযাত্রার অনুমতি পেতে সুপ্রিম কোর্টের শরণাপন্ন হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি।


 


প্রসঙ্গত, রথযাত্রা নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ আপাতত বাতিল করে দেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত। মামলা ফের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ঘরে ফেরান তিনি। ফলে আরও একবার বিশ বাঁও জলে বিজেপির রথযাত্রা। কারণ শনিবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য শীতকালীন ছুটিতে বন্ধ থাকছে আদালত। সেক্ষেত্রে এবছরের শেষে বিজেপি আদৌ রথযাত্রা বার করতে পারবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।  সওয়াল জবাবের সময়ে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, “সব রিপোর্ট খতিয়ে না দেখে কী করে রায়?” এর পাশাপাশি গোয়েন্দা রিপোর্ট খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।


বৃহস্পতিবার রাজ্যের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বিজেপির রথযাত্রার অনুমতি দেয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর সিঙ্গল বেঞ্চ। শর্তসাপেক্ষে রথযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয় বিজেপিকে। রথযাত্রায় সায় দিয়ে আদালত  ছিল কিছু শর্ত। বিজেপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যেখানে রথ বেরোবে, তার ১২ ঘণ্টা আগে স্থানীয় প্রশাসনকে জানাতে হবে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হলে তার দায় বিজেপিকে নিতে হবে। রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আইন শৃঙ্খলা বজায় পর্যাপ্ত পুলিস কর্মী মোতায়েন করতে হবে প্রশাসনকে। তারপর প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।


আরও পড়ুন- ঘণ্টায় ১৮০ কিমি গতিবেগে দৌড়চ্ছিল ট্রেন-১৮, উড়ে এল পাথর, তারপর...