জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চোখের সামনে যেন মুন্সি প্রেমচন্দের বা শরৎচন্দ্রের কাহিনি! যেন এই দুই মহা-লেখকের কোনও কাহিনি অবলম্বন করে এসময়ের কেউ বানিয়েছেন কোনও ফিল্ম। যেন তারই শ্যুটিং চলছে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: No Chicken: চিকেনপ্রেমীদের জন্য দুঃসংবাদ, কাল থেকে বন্ধ মুরগি!


কেন মুন্সি প্রেমচন্দের বা শরৎচন্দ্রের কথা উঠছে? কারণ, স্থানীয় এক প্রভাবশালী এক গরিব বৃদ্ধ কৃষকের জমি আত্মসাৎ করেছে। সে কথা জেনে অসহায় ওই বৃদ্ধ ছুটে গিয়েছেন কালেক্টরেট অফিসে। সেখানে অফিসের মেঝেতে জোড়হাত করে গড়াগড়ি দিয়ে তাঁর জমির জন্য প্রার্থনা করছেন। দৃশ্য হিসেবে ভয়ংকর অভিঘাতপূর্ণ এবং মর্মস্পর্শী। 


কিন্তু এই দৃশ্যের ব্যাপারে ভুল ভাঙলে চোখ কপালে ওঠে। কেননা, কোনও গল্প-কাহিন-সিনেমা-সিরায়ালের ব্যাপারই নয় এ। ঘোর বাস্তব। ঠিক এমনই ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। মধ্যপ্রদেশের মান্দসাউরের ঘটনা। সরকারি অফিসের বারান্দায় গড়াচ্ছেন ওই বৃদ্ধ। গড়াচ্ছেন আর বলছেন, এবার কী হবে, এবার কী হবে…! 
আশ্চর্য যে, অফিসের আধিকারিক ও কর্মীরা দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে দেখছেনও সেই দৃশ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে এসেছে সেই ভিডিয়ো। ওই কৃষকের অভিযোগ, স্থানীয় মাফিয়াদের হাতে চলে গিয়েছে তাঁর জমি। এবার তাঁর কী হবে? তিনি কী করবেন?


কৃষকের নাম শঙ্করলাল। তাঁর দাবি, জমি মাফিয়ারা তাঁর জমি হাতিয়ে নিয়েছেন! ঘটনাটা জানার পরে তিনি এর সুরাহা চেয়ে বারবার অভিযোগ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরে। কিন্তু  শঙ্করলালের দাবি, কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি! কিন্তু তাঁর তো মাথা ফেটেছে, তাই চুন খুঁজতে উতলা হয়েছেন তিনিই! নিজের সম্বলটুকু চলে যাওয়ায় রীতিমতো অসহায় হয়ে পড়েছেন তিনি। কী করবেন ভেবে না পেয়ে, শেষ পর্যন্ত কালেক্টরের অফিসে গিয়ে অফিসের বারান্দার মেঝেতে শুয়ে পড়েন তিনি! অফিসের বারান্দায় এদিক থেকে ওদিন গড়াগড়ি দিতে থাকেন, এবং আর্তি জানাতে থাকেন-- যদি কেউ তাঁর কথা শোনেন!


কেউ কথা শোনেনি! সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে শঙ্করলাল একরাশ হতাশা উগরে বলেন, জমি-মাফিয়ারা আমায় হয়রান করে দিয়েছে! তহশিলদারের ভুলেই এই অবস্থা হয়েছে আমার। সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ তিনি। তিনি বলেন, কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন: Purulia: অবিশ্বাস্য! এবার অযোধ্যা পাহাড় বেড়াতে যেতে পারবেন বিমানে চেপেই...


ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর জেলাশাসক দিলীপ যাদব জানান, যেসব ঘটনার পাবলিক হিয়ারিং হচ্ছে, সেগুলি মিটে যাচ্ছে। সম্ভবত এটাও মিটে যাবে। দেখা যাক! আমরা দেশ হিসেবে এগিয়েছি, না সেই মুন্সি প্রেমচন্দের বা শরৎচন্দ্রের যুগেই পড়ে আছি! সময়ই বলবে! 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)