নিজস্ব প্রতিবেদন: মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে গুয়াহাটি, ডিব্রুগড় থেকে উঠল কার্ফু। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাগরিকত্ব নিয়ে সংশোধিত নয়া আইনের প্রতিবাদে বিগত কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ মারাত্মক আকার নেয় অসমের বিভিন্ন জেলায়। একাধিক সংগঠনের উদ্যোগে অসমের ডিব্রুগড়, দিসপুর, বঙ্গাইগাঁও-সহ একাধিক জেলায় নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে সামিল হন হাজার হাজার মানুষ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা নামানো হয় অসমের বিভিন্ন অঞ্চলে। ১১ ডিসেম্বর থেকে অসমে কার্ফু জারি করা হয়। একইসঙ্গে  ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবাও বন্ধ রাখা হয়। অসমের বিভিন্ন শাখায় ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বাতিল করা হয় একের পর এক ট্রেন ও উড়ান।



আরও পড়ুন: কাশ্মীরের গুরেজ সেক্টরে বেপরোয়া গোলাগুলি পাক সেনার, শহিদ ১ জওয়ান



সংবাদ সংস্থা এএনআইকে অসম পুলিসের ডিজি বি জে মাহান্ত জানান, এখনও পর্যন্ত ১৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে আর অশান্তি বাধানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৯০ জন বিক্ষোভকারীকে। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস গুলি চালাতে বাধ্য হয়। মাহান্ত জানান, দুর্ভাগ্যবশত পুলিসের গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পর পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কার্ফু শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।