জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'! ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়েছিল বইটি। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরে, যাকে বলে আক্ষরিক অর্থেই, সাড়া পড়ে গিয়েছিল গোটা দেশে। ছড়িয়েছিল বিতর্কের আগুন। ভারত-সহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে নিষিদ্ধ হয় 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী অভিযোগ ছিল বইটির প্রতি?


আরও পড়ুন: Bangladesh: হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবার বন্ধ করতে হবে! ইউনূসের বাংলাদেশকে কড়া হুঁশিয়ারি মোদীর...


'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস' নাকি ইসলাম ধর্মের অবমাননা করেছে! এই অভিযোগে বইটি নিষিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যু-পরোয়ানা জারি হয় লেখকের, সলমন রুশদির নামে! রুশদিকে খুন করলে খুনি ৩০ লক্ষ ডলার পুরস্কার পাবেন-- ঘোষণা করলেন ইরানের তত্‍কালীন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা রুহেল্লা খোমেইনি।


কিন্তু বইটির কাহিনিতে কী ছিল?


রওনা দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে হাইজ্যাক হয় একটি বিমান। যাত্রীদের পণবন্দী করে, সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে হাইজ্যাকাররা। কিন্তু আলোচনা ভেস্তে যায়। বিমানটি ফের আকাশে ওড়ে। এবং বিমানটি ধ্বংস করে হাইজ্যাকাররা। দুই কিশোরী বাদে বিমানের সব যাত্রীই মারা যান। ওই দুই কিশোরী একজন ইশ্বরের দূত হয়ে উঠল, অন্যজন শয়তানের প্রতিমূর্তি। এরা নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলত। এভাবেই গল্প এগিয়েছে 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেসে'র।


আয়াতোল্লা রুহেল্লা খোমেইনির ওই ফতোয়ার পরে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। ১৯৮৮ থেকে ২০২৪-- ৩৬টি বছর! কম নয়। প্রায় চার দশক। এই দীর্ঘ সময় জুড়ে বারবার কেন্দ্রের কাছে বইটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলার আবেদন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু অভিযোগ, কোনও সরকারই বিষয়টি নিয়ে সেভাবে গা করেনি। আজ, এত বছর পরে জানা গেল এক আশ্চর্য তথ্য! কী? 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেসে'-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিজ্ঞপ্তিটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না! এমনকি এ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে কোনও নথিই নেই! নথি নেই, বিজ্ঞপ্তিও হারিয়ে গিয়েছে! তাহলে সংশ্লিষ্ট বইয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে কী করে? কিন্তু এখন কী হবে? যা শোনা যাচ্ছে, তা হল, এবার বিদেশ থেকে বইটি আনানোর ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা রইল না। 


আরও পড়ুন: Jagaddhatri Puja 2024: মহাকালের কোন লগ্নে জগদ্ধাত্রীর আবির্ভাব? দশমহাবিদ্যা রূপের বাইরে কেন তিনি?


প্রসঙ্গত, 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেসে'র উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। ভারতে বইটি নিষিদ্ধ করতে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল, সেটি যেহেতেু খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এবং ওই বিজ্ঞপ্তির নিরিখে যে মেমো তৈরি হয়েছিল, তারও যখন কোনও অস্তিত্ব নেই, তখন আর ব্যান কেন? বিচাপপতিরা জানিয়ে দেন, এরপর আর বিদেশ থেকে স্যাটেনিক ভার্সেস আনিয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা থাকতে পারে না। তাই এখন ভারতের যে কোনও নাগরিক চাইলে রুশদির লেখা বহু বিতর্কিত বইটি আনিয়ে পড়তেই পারেন। সন্দেহ নেই, কোনও বই নিষিদ্ধ থাকার বিষয়ে এটা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। এতে কলম যে সত্যিই অনেক শক্তিশালী, সেই তত্ত্বটাই যেন প্রতিষ্ঠিত হয়। শেষমেশ সাহিত্যের জয়-- বিষয়টিকে এভাবেও দেখা যায়। 


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)