নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজস্থানের সরকারে কংগ্রেস। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে মিলল শূন্য আসন। এমন শোচনীয় পরিস্থিতিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা সে রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের ঘাড়েই সমস্ত দায় চাপালেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। প্রকাশ্যে নিজের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আনায় রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। মনে করা হয়, এর পালটা জবাবও দেবেন কংগ্রেসের তরুণ তুর্কি সচিন। কিন্তু সে পথে না হেঁটে ইফতার পার্টিতে পাশাপাশি তাঁদের উপস্থিতি দেখা গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


মঙ্গলবার জয়পুরের ইফতার পার্টিতে এক সঙ্গে দেখা যায় অশোক গেহলট এবং সচিন পাইলটকে। এ দিন দুই জনেরই নিজস্ব ইফতার পার্টি ছিল। ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের আগে অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের নিয়ে বৈঠকও করেন তাঁরা। এ দিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে গেহলট বলেন, “ব্যাপক ব্যবধানের জেতার আশ্বাস দিয়েছিলেন পাইলট। তাদের কাছে ৬ বিধায়ক রয়েছে এবং প্রচারও ধামাকাদার হয়েছে বলে দাবি করেছিল সে। তাই এমন পরাজয়ে সচিন পাইলটকেই দায় নেওয়া উচিত।” তিনি এ-ও দাবি করেন, তাঁর ছেলের পরাজয়ের দায়ও তাঁকে নিতে হবে। তবে, অশোক গেহলটের এই মন্তব্যে মুখ খোলেননি সচিন পাইলট।


আরও পড়ুন- ৫ কোটি সংখ্যালঘু পড়ুয়াকে বৃত্তি দেবে কেন্দ্র, বললেন নাকভি


উল্লেখ্য, অশোক গেহলটের পুত্র বৈভব প্রায় ২.৭ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে বিজেপির হেভিওয়েট প্রার্থী গজেন্দ্র সিং শেখওয়াতের কাছে হারেন। মুখমন্ত্রী গেহলটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে লোকসভা নির্বাচনে অন্যান্য কেন্দ্র ফেলে শুধুমাত্র পুত্রের কেন্দ্রেই বেশি করে প্রচার চালান তিনি।


রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে জয় পেয়ে কংগ্রেস সরকার গড়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে কন্দোল তৈরি হয় দলের অন্দরে। তরুণ এবং সফল সাংগঠনিক কর্মী হিসাবে সচিন পাইলট ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার। অন্য দিকে দু’বার মুখ্যমন্ত্রী থাকা অভিজ্ঞ রাজনীতিক অশোক গেহলট। শেষমেশ অভিজ্ঞকেই বেছে নেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে কংগ্রেসের অন্দরের খবর, তার পর থেকেই চোরা দ্বন্দ্ব অব্যাহত রয়েছে গেহলট ও পাইলটের মধ্যে।