নিজস্ব প্রতিবেদন: আরও একবার পিছিয়ে গেল অযোধ্যায় বিতর্কিত জমি মামলার শুনানি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার জানিয়েছেন, পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে একজন বিচারপতি না থাকায় মামলার শুনানি সম্ভব নয়। এদিকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙছে। অযোধ্যা মামলা মেটাতে ২৪ ঘণ্টা দরকার।          


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এসএল বোডবে। কিন্তু তিনি মঙ্গলবার থাকতে পারবেন না। দিন কয়েক আগে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ফের গঠন করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। নতুন দুই বিচারপতিকে যোগ করেন তিনি। শুক্রবার বিচারপতি আবদুল নাজির ও বিচারপতি অশোক ভূষণকে সামিল করেন প্রধান বিচারপতি। প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের তিন সদস্যের বেঞ্চের সদস্য ছিলেন তাঁরা। গত ১১ জানুয়ারি শেষ শুনানিতে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন বিচারপতি ইউইউ ললিত। ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন, এই সংক্রান্ত মামলায় ১৯৯৭ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংয়ের আইনজীবী ছিলেন তিনি। 


গত ৬ দশক ধরে মামলাটি ঝুলে রয়েছে আইনি ফাঁসে। মামলাটির শুনানি দ্রুত নিষ্পত্তির দাবি উঠেছে। দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য লাগাতার শুনানির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।   


আরও পড়ুন- ঐশ্বরিক! বরফে ঢাকা কেদারনাথ দর্শন করুন    


লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দিরের দাবিতে সরব হয়েছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বহু সভাসমাবেশ করেছে তারা। আইনের ভরসায় না থেকে অধ্যাদেশ এনে রাম মন্দির তৈরির দাবি তুলেছে আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বার্তা দিয়েছেন, আইন তৈরি করে রাম মন্দির তৈরির ব্যবস্থা করুক সরকার। কিন্তু রাম মন্দিরের জন্য কেন্দ্র অধ্যাদেশ আনবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। মামলার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দাবি করেন, রাম মন্দির মামলা পিছিয়ে দিতে চাইছে কংগ্রেস।