নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ২৫ মার্চ থেকে সারা দেশে লকডাউন জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দোকান-পাঠ, অফিস-আদালত, কল-কারখানা, বাজার-হাট— সব বন্ধ গোটা দেশে। মারাত্মক অর্থনৈতিক সঙ্কটের মুখে পড়েছেন দেশের লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই সঙ্কট থেকে দেশের মানুষকে সাময়িক নিস্তার দিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দেশের সমস্ত ব্যাঙ্ক ও মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানিকে পরবর্তী তিন মাসের জন্য সব রকম ঋণের EMI স্থগিত করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কি আদৌ সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সুবিধা তৈরি করতে পারল?


আসলে সাধারণ মানুষের উপর থেকে আপাতত তিন মাসের EMI বন্ধ করা হলেও মুকুব করা হচ্ছে না সুদ। স্টেট ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, EMI না দিলেও প্রতিমাসে সুদের টাকা গুনে যেতেই হবে। অর্থাৎ, এই তিন মাসের সময়কাল পেরিয়ে যাওয়ার পর বকেয়া ঋণের সুদ, আসলের সঙ্গে জুড়ে যাবে এই তিন মাসের সুদের অঙ্ক।


এই গোটা বিষয়টা এতদিনে হয়তো অনেকেই বুঝে গিয়েছেন। তবে গ্রামের কৃষিজীবী বা কূটির বা ক্ষুদ্র শিল্পের উপর নির্ভরশীল অনেক মানুষই এই বিষয়টি সম্পর্কে তেমন ভাবে অবগত নন। আর এই মানুষগুলোকেই ফোন করে বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে বোঝাচ্ছেন বন্ধন ব্যাঙ্কের কর্মী ও আধিকারিকরা। ঋণের কিস্তি ৩ মাস পিছিয়ে দিতে চাইলে সেই সংক্রান্ত আবেদন করার পদ্ধতিও বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন: দেশজুড়ে ২৫,৫০০ তবলিঘি কর্মী কোয়ারেন্টাইনে; সিল করা হল হরিয়ানার ৫ গ্রাম: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক


এর পাশাপাশি করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে বাঁচতে কী করা উচিত আর কী করবেন না, সে বিষয়েও ফোন করে গ্রাহকদের সচেতন করছে বন্ধন ব্যাঙ্ক। সব মিলিয়ে দেশের হাজার হাজার দিন-আনা দিন-খাওয়া গ্রাহকদের করোনা সংক্রান্ত সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বন্ধন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।