কথায় বলে '‍কুসন্তান যদিও হয়, কুমাতা কদাপি নয়'‍। ছোট থেকে আমরা অনেকেই এই প্রবাদটিই শুনে এসেছি। তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু ঘটনা ঘটে ‌যা এক নিমেষে এই প্রবাদ ভুল প্রমাণিত করে দেয়। ঠিক ‌যেমনটা ভুল প্রমাণিত করল বেঙ্গালুরুর জেপি নগরের ঘটনা। ৭ বছরের আংশিক মানসিক ভারসম্যহীন শিশুর কান্না বন্ধ করতে ৪ তলা থেকে দু'‍দুবার ছুঁড়ে ফেললেন মা। মৃত্যু হয় শিশুটির।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটে, রবিবার দুপুরে। স্বাতী সরকার নামে বছর ৩৪-এর ওই মহিলার এই কা‌র্যকলাপ দেখে বাকরুদ্ধ প্রতিবেশীরা। তাঁরা জানিয়েছে, ৭ বছরের ওই শিশুটি আংশিক প্রতিবন্ধী। এদিন তাঁরা আওয়াজ পেয়ে ছুটে এসে দেখেন চারতলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে ‌গেছে শিশুটি। প্রথমে তাঁরা শিশুটি পড়ে গেছে বলেই ভেবেছিলেন। পরে ভুল ভাঙে। দেখেন, তার মা তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ফের ওপর থেকে ফেলে দেন। তখন বিষয়টি প্রতিবেশীদের কাছে পরিস্কার হয়ে ‌যায়। প্রতিবেশীদের কথামত, প্রথমবার শিশুটি বেঁচে গেলেও দ্বিতীয়বার ওপর থেকে পড়া মাত্রই শিশুটির মৃত্যু হয়।


জানা গিয়েছে, ৭ বছরের সন্তানকে মেরে ফেলার পর নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন স্বাতী।  প্রতিবেশীরা তাঁকে প্রথমে একটা পোস্টে বেঁধে রেখে বেধরক মারধর করেন। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশের জেরার মুখে স্বাতী স্বীকার করে নেন, ‌সে হতাশ হয়েই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন।  


প্রসঙ্গত, স্বাতী সরকার গত ১০ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেঙ্গালুরুতে ‌যান। তবে গত ৭ মাস হল তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না। তিনি তাঁর ওই ৭ বছরের মেয়ের সঙ্গে একাই থাকতেন। রবিবার স্বাতী তাঁর আংশিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে কথা বলানোর চেষ্টা করছিলেন। সে কথা না বলতে পেরে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে, কান্নাকাটি শুরু করে। তখনই স্বাতী তাকে চুপ করাতে এমন ভয়ানক পদক্ষেপ নেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান হতাশা থেকেই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন স্বাতী।


আরও পড়ুন- শিশুমৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে


ছবি সৌজন্য-এনডিটিভি