ইসরোর বড় সাফল্য, চাঁদের কাছেই পৌঁছে গেল চন্দ্রযান-২
পরিকল্পনামাফিক পর পর ৫টি লুনার বার্ন সম্পূর্ণ। চাঁদের একদম কাছাকাছি চন্দ্রযান-২। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরত্বে স্থাপন করা হল অর্বিটারকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষবারের মতো কক্ষপথের দূরত্ব কমাল ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযান। আর তার ফলেই চাঁদের দরজায় পৌঁছে গেল চন্দ্রযান-২। মোট ৫২ সেকেন্ডের জন্য জ্বলে উঠল চন্দ্রযান-২-এর ইঞ্জিন। চাঁদের থেকে মাত্র ১১৯x১২৭ কিমি দূরত্বে এখন চন্দ্রযান-২। ইসরো সূত্রে খবর আগামিকাল ২ সেপ্টেম্বর এই অবস্থান থেকেই চন্দ্রযান-২-এর মূল অর্বিটার থেকে বিচ্ছিন্ন হবে ল্যান্ডার বিক্রম। বিছিন্ন হওয়ার পর ধীরে ধীরে কক্ষপথের দূরত্ব কমাবে বিক্রম। ৩৬কিমি X ১১০কিমি কক্ষপথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে বিক্রম। সেই সময় চন্দ্রপৃষ্ঠের স্ক্যানিং করবে বিক্রম। সব কিছু ঠিক থাকলে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১টা ৩০ মিনিট থেকে ২টো ৩০ মিনিটের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ল্যান্ড করবে বিক্রম। রকেটের মাধ্যমে সফ্ট ল্যান্ডিং করবে বিক্রম। ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে নেমে আসবে বিক্রম। এর পরেই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিচার করে বিক্রমের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান।
রবিবার টুইট করে চন্দ্রযান-২-এর শেষ ম্যানুভার সফল হওয়ার খবর জানায় ইসরো। ম্যানুভারের পর চন্দ্রযান-২-এর সমস্ত যন্ত্রাংশ স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে বলে জানায় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
অগাস্ট মাসের ১৪ তারিখ পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে চাঁদের কক্ষপথের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে চন্দ্রযান-২। প্রায় ৬ দিনব্যাপি ট্রান্স-লুনার ইন্সারসানের মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথের দিকে এগিয়ে যায় চন্দ্রযান-২। ইসরোর কাছে এটিই ছিলে অভিযানের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। ২০ অগাস্ট পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান-২।
এরপর মোট ৫টি ধাপে চাঁদের থেকে দূরত্ব কমানোর পরিকল্পনা ছিল ইসরোর। পরিকল্পনামাফিক পর পর ৫টি লুনার বার্ন সম্পূর্ণ। চাঁদের একদম কাছাকাছি চন্দ্রযান-২। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরত্বে স্থাপন করা হল অর্বিটারকে।
আপাতত ইসরোর বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের পাখির চোখ বিক্রমের ল্যান্ডিংয়ের দিকে। ৭ সেপ্টেম্বর মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে ইতিহাস সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর তাঁরা। সেই লক্ষ্যেই ব্যস্ততা তুঙ্গে এখন ইসরোর কন্ট্রোল রুমে।
আরও পড়ুন - চাকরি জীবনের শেষ দিন, হেলিকপ্টার ভাড়া করে বাড়ি গেলেন সস্ত্রীক স্কুল শিক্ষক