চাকরি জীবনের শেষ দিন, হেলিকপ্টার ভাড়া করে বাড়ি গেলেন সস্ত্রীক স্কুল শিক্ষক
রমেশ চাঁদ মনে মনে ভেবেই রেখেছিলেন, যদি স্ত্রীর এই আবদার পূরণ করতে পারেন, তাহলে চাকরি জীবনের শেষ দিনেই করে দেখাবেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: যাঁরা সাধ পূরণ করতে ভালবাসেন, তাঁরা সাধ্যের ধার ধারেন না। যদির গিন্নির সাধ পূরণের প্রশ্ন হয়, তা হলে তো কথাই নেই! আকাশ থেকে চাঁদও পেরে আনতে পারেন। আমজনতার ভিড়ে এমন মানুষের সংখ্যা হয়ত কম। সেই কমের তালিকায় থাকতে পারেন রাজস্থানের স্কুল শিক্ষক রমেশ চাঁদ মিনা। অবসর নেওয়ার শেষ দিনে গিন্নিকে চপারে উড়িয়ে বাড়ি নিয়ে গেলেন।
বৌ এক দিন বলেছিল, “আচ্ছা, একটা হেলিকপ্টার ভাড়া করলে কত টাকা পড়বে?” তিনি জানতেন, স্বামী সামান্য মাইনের স্কুল শিক্ষক। কয়েকদিনের মধ্যেই অবসর নেবেন। রমেশবাবুর পক্ষে তা সম্ভব নয়। তবে, তাঁর এই অলীক সাধ প্রিয়জনকে ছাড়া আর কার সঙ্গেই বা শেয়ার করতেন! কিন্তু তিনি কখনও ভাবেননি, তাঁর এই সাধ পূরণ করতে রমেশ চাঁদ এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন।
রমেশ চাঁদ মনে মনে ভেবেই রেখেছিলেন, যদি স্ত্রীর এই আবদার পূরণ করতে পারেন, তাহলে চাকরি জীবনের শেষ দিনেই করে দেখাবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। চপার ভাড়া করতে যোগাযোগ শুরু করে দেন তিনি। রমেশের কথায়, ৩.৭০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিল্লি থেকে ভাড়া করে নিয়ে আসে চপার। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুমতিও নেন। তাঁরা সহযোগিতা না করলে এ কাজ সম্ভব হত না বলে জানান রমেশ চাঁদ।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় রাজি তবে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে, বললেন জয়শঙ্কর
জয়পুর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূর মালাওয়ালি গ্রামের স্কুল মাঠে চপার নামে। রমেশ বাবু রাজস্থানি পোশাকে স্ত্রীকে নিয়ে উপস্থিত সেখানে। সঙ্গে ছিলেন তাঁর নাতি। রমেশবাবু বলেন, “স্ত্রীর ইচ্ছাপূরণ করতে পেরে ভীষণ খুশি। মনে হলো কিছু একটা করলাম।” মাত্র ১৮ মিনিটের যাত্রা পথে বাড়ির উদ্দেশে স্ত্রীকে নিয়ে উড়ে গেলেন রমেশবাবু। আর ছাদ থেকে গ্রামবাসীরা তাকিয়ে দেখলেন, রমেশবাবুর আকাশ ছোঁয়া সাধ পূরণ।