নিজস্ব প্রতিবেদন: নির্বাচন কমিশন বড় কোনও পরিবর্তন না করলে অক্টোবর-নভেম্বর মাসেই হতে পারে বিহার বিধানসভা নির্বাচন। করোনা সংক্রমণের মধ্যে কীভাবে নির্বাচন হতে পারে তা নিয়ে আপত্তি তুলেছিল আরজেডি। তবে ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা হবে ধরে নিয়েই এগোচ্ছে নির্বাচন কমিশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কংসাবতীর জলের তোড়ে ধসে পড়ল ক্যানেলের গার্ডওয়াল! ভেসে গেল গ্রাম, ৭২ বিঘা ধানজমি 


রাজ্যে কীভাবে ভোট করানো যায় তা নিয়ে বিভিন্ন দলের কাছে পরামর্শ চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তাতে আশ্চর্য সব পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন দল।


আরজেডি


বরাবরই করোনা সংক্রমণের সময়ে নির্বাচন করানোর বিরোধিতা করে আসছিল আরজেডি। নির্বাচন কমিশনের চাওয়া পরামর্শে তারা অবশ্য জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ভোট করানো ঠিক হবে না। পাশাপাশি ভোট করাতে হবে ব্যালটে। ইভিএম চলবে না। এছাড়া নির্বাচনের সময়ে কোনও ভোটদাতার করোনা  হলে তাঁকে জীবন বিমার সুবিধে দিতে হবে।


বিজেপি


বিজেপি নির্বাচন কমিশনের কাছে পরামর্শ দিয়েছে, ভোটের প্রচার হোক ভার্চুয়াল। এতে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই কমবে। এছাড়াও একটি বিষয়ে জোট দিয়েছে বিজেপি। সেটি হল, কোনও নেতা জেলে বন্দি থাকলে তাঁকে যেন ভার্চুয়াল প্রচার করতে না দেওয়া হয়।


বিজেপির লক্ষ্য অবশ্যই লালু প্রসাদ যাদব। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে থাকলেও বিহারে এখনও লালু প্রসাদের প্রভাব রয়েছে। সেটাই রুখতে চাইছে গেরুয়া শিবির। এছাড়াও বিজেপি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। সেটি হল, করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে ভোটারদের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হোক। একে যেন ঘুষ বলে মনে না করা হয়।


আরও পড়ুন-লালারস সংগ্রহের দরকার নেই, গার্গেল করা জলই বলে দেবে আপনি করোনা আক্রান্ত কিনা! 


কংগ্রেস


ভার্চুয়াল প্রচারের বিরুদ্ধে কংগ্রেস। তাদের দাবি, অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করে প্রচারসভা করা হোক। পাশাপাশি বিধানসভার প্রচারে রাজনৈতিক দলগুলিকে ছাড়া দেওয়া হোক। কংগ্রেসের আরও দাবি, ভোট হোক ব্যালট পেপারে।


মিম


সম্প্রতি কিশানগঞ্জ উপনির্বাচনে রাজ্যে খাতা খুলেছে আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল মিম। তাদের দাবি, ভোটকর্মীদের করোনা টেস্ট করতে হবে। ভোট হোক ব্যলটে। এবার তারা রাজ্যের ৩২ আসনে লড়াই করবে বলে ঠিক করেছে।