কংসাবতীর জলের তোড়ে ধসে পড়ল ক্যানেলের গার্ডওয়াল! ভেসে গেল গ্রাম, ৭২ বিঘা ধানজমি

অভিযোগ, রেলের থার্ড লাইনের নিম্নমানের কাজের জন্যই ভেঙে পড়েছে গার্ডওয়াল।

Edited By: অধীর রায় | Updated By: Aug 21, 2020, 03:25 PM IST
কংসাবতীর জলের তোড়ে ধসে পড়ল ক্যানেলের গার্ডওয়াল! ভেসে গেল গ্রাম, ৭২ বিঘা ধানজমি
নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : রেল চলাচল বন্ধ তাই  বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া গেল। ঝাড়গ্রামের রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাড়গেড়িয়ায় কংসাবতী নদীর কংক্রিটের সেচ ক্যানেলের ওপর দিয়ে  ঝাড়গ্রাম-টাটানগর রেললাইন গেছে। তৃতীয় রেললাইনের কাজ চলার জন্য এই ফ্লাইওভার ক্যানেলের গার্ডওয়ালের নির্মাণকাজ কিছু দিন আগেই শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার কংসাবতী ক্যানেলে জল ছাড়ায় সেই গার্ডওয়ালের একটা অংশ ভেঙে যায়। ভাঙা অংশ দিয়ে হু হু করে জল ঢুকে ভাসিয়ে দেয়  বামদা থেকে জমিদারডাঙ্গা যাওয়ার পিচ রাস্তা। বানভাসি হল ঝাড়গ্রামের রাধানগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার দুটি গ্রাম সহ একাধিক রাস্তা। জলের তলায় চলে গেছে ৭০ থেকে ৭২ বিঘা ধানিজমি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান," ধানজমির পাশাপাশি ৬-৭টি বাড়ি জলের তলায়। সব জায়াগার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।"

এলাকাবাসীর অভিযোগ, রেলের থার্ড লাইনের নিম্নমানের কাজের জন্যই ভেঙে পড়েছে গার্ডওয়াল। আর তারই জেরে ভেসে গেল রাধানগর গ্রামপঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বিঘার পর বিঘা নষ্ট হয়েছে ধানজমি। এই বিপর্চযের জন্য ঠিকাদার সংস্থাকে দায়ী করছেন এলাকার মানুষ। তাদের অভিযোগ," নরম মাটির উপর ঢালাই করে দেওয়াতে এই বিপত্তি। ঠিকাদার সংস্থা যদি কংসাবতী কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানাত তাহলে তাঁরা জল ছাড়ত না। এছাড়া বিকেল ৩টে থেকে গার্ডওয়াল দিয়ে জল লিক করছিল। দেখা সত্ত্বেও কোনও গুরুত্ব দেয়নি ঠিকাদার সংস্থা। এই বিপর্চযের জন্য তারাই দায়ি।"

 

বৃহস্পতিবারের বিকেলে ঘটনার পর সারা রাত কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও সহায়তা তো দূরের কথা, কাউকে পাশেও পায়নি গ্রামবাসী। নির্মীয়মাণ সংস্থার তরফেও কাউকে দেখা যায়নি। বছরে একবারই চাষ হয় এই সমস্ত এলাকায়। কিন্তু জলে ভেসে যাওয়ায় এবার তাঁদের মাথায় হাত। এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনরকম সহায়তা বা সাহায্যের আশ্বাস পায়নি গ্রামের বাসিন্দারা। ফলে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, অবিলম্বে এই ক্ষতি পূরণ করতে হবে। শুধু তাই নয় কংসাবতীর ছাড়া জলে ভেসে গিয়েছে গ্রামের রাস্তা। ঝাড়গাম থেকে এই সমস্ত এলাকার যোগাযোগ এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। কীভাবে নতুন করে কাজ শুরু হবে, তারও কোনও নির্দিষ্ট দিশা নেই। আবার যদি বৃষ্টি শুরু হয়, নতুন করে যদি ফের জল ছাড়া হয়, তাহলে এই সমস্ত এলাকাগুলি পুরোপুরি জলের তলায় চলে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।

আরও পড়ুন, লালারস সংগ্রহের দরকার নেই, গার্গেল করা জলই বলে দেবে আপনি করোনা আক্রান্ত কিনা! 

.