এখনও যাঁরা মাস্ক পরছেন না তাঁদের সবক শেখালেন এই সাংবাদিক, নিলেন `গাধা`র ইন্টারভিউ
অতিমারিতে মাস্ক পরা আবশ্যিক। কিন্তু কিছু লোক যেন পণ করেছেন যে কারও কথাই শুনবেন না!
নিজস্ব প্রতিবেদন- ভারত হোক বা আমেরিকা, করোনা সংক্রমণ কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। উল্টে রোজ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। এমন অবস্থায় সরকারের তরফে বারবার বলা হচ্ছে মাস্ক পরার কথা। মাস্ক পরলেই যে আপনি একশো শতাংশ সুরক্ষিত তা কিন্তু নয়। তবে মাস্ক না পরলে সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। তাই বাইরে বেরোলে বা কারও সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে সংক্রমণের হার কমতে পারে কিছুটা হলেও। সরকারের নির্দেশিকা মেন চলছেন বেশিরভাগ মানুষ। কিন্তু এখনও কিছু মানুষ মাস্ক পরতে রাজি নন। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে তাঁরা মাস্ক না পরেই বাইরে বেরোচ্ছেন।
মাস্ক না পরাটা বোকামি। এমনটা জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অতিমারিতে মাস্ক পরাটা আবশ্যিক। কিন্তু কিছু লোক যেন পণ করেছেন যে কারও কথাই শুনবেন না! কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ভাল্ভ লাগানো এন নাইন্টি ফাইভ মাস্ক পরলে আখেরে ক্ষতি বেশি। তার থেকে বাড়িতে তৈরি কাপড়ের মাস্ক অনেক বেশি নিরাপদ। কারণ করোনা আক্রা্ত ব্যক্তির ড্রপলেট আকাতে পারছে না ভাল্ভ লাগানো মাস্ক। বরং এক্ষেত্রে কাপড়ের মাস্ক অনেক বেশি কার্যকরী ভূমিরা পালন করছে। অর্থাত্, দামি মাস্ক পরারও দরকার নেই। সাধারণ মাস্ক পরলেও চলবে। তার মানে খরচও কম। কিন্তু তাও অনেকে কথা শুনছেন না। আর সেইসব অবাধ্য মানুষদের সবক শেখাতেই এমন কাণ্ড করলেন বিহারের এক সাংবাদিক।
আরও পড়ুন- বাইকে পাক বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন সিদ্দিকি, পথ আটকালো BSF, তারপর...
সেই সাংবাদিকের একডি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি প্রথমে একটি গাধার ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। তার পর রাস্তার ধারে মাস্ক ছাড়া বসে থাকা কিছু লোকের ইন্টারভিউ নিচ্ছেন। কথোপকথনের সময় তিনি বলছেন, যাঁরা মাস্ক পরছেন না তাঁরা গাধা। তাই জোর গলায় বলুন আমরা গাধা। তাঁর সেই ভিডিয়ো দারুণ পছন্দ করেছেন নেটিজেনরা। সেই সাংবাদিক কিন্তু কাউকে মানসিকভাবে আঘাত করতে চাননি। তিনি শুধু চেয়েছিলেন এই অনন্য উপায়ে সচেতনতা বাড়াতে! এর পর তিনি একজন বৃদ্ধ লোকের দিকে ক্যামেরা ও বুম নিয়ে এগিয়ে যান। ক্যামেরা দেখে সেই ব্যক্তি মুখ লুকোন। তখন সেই সাংবাদিক তাঁকে বলেন, ক্যামেরা নাকি করোনা! আপনি কার থেকে বাঁচতে চাইছেন বলুন তো!