জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময় বিলকিস বানোর (Bilkis Bano Case) গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে তিনটি পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট সরকারকে নোটিস দিল। দুই সপ্তাহ পর মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। দেশের ৭৬ তম সব স্বাধীনতা দিবসের দিন বিলকিস বানো-কাণ্ডে দোষীসাব্যস্ত ১১ জন আসামীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট  সরকার। সিবিআই-এর মতে 'বিরল থেকে বিরলতম' আখ্যাপ্রাপ্ত অপরাধের জন্য দোষীদের যাবজ্জীবন সাজার রায় দিয়েছিল সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। সেখানে কোন যুক্তিতে ১১ জনকেই মুক্তির সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট  সরকার তা নিয়েও ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, LoC: ভারতকে আক্রমণ করলেই ৩০ হাজার টাকা, পাক জঙ্গির স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্য


বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে তিনটি জনস্বার্থ মামলা করে- ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) পলিটব্যুরোর সদস্য সুভাষিনী আলি, তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অন্য একজন আবেদনকারী। ১৫ বছরেরও বেশি সময় কারাভোগ করার পর একটি পুরানো  সাজামুকুব  নীতির অধীনে দোষীদের মুক্তি দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে অবশ্য বিশেষ আদালতের বিচারকের  সঙ্গে একটি বিশাল রাজনৈতিক বিতর্কে পরিণত হয়। গুজরাট সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত  হয়।


১১ জন অভিযুক্ত মুক্তির পর বিজেপির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠী মিষ্টি মুখ করিয়ে, আলিঙ্গন এবং মালা পরিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। একজন বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে, এই লোকগুলো ব্রাহ্মণ এবং ভালো সংস্কৃতির অধিকারী। এমনকী সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির কয়েকদিন পর বিলকিস বানো বলেছিলেন, যে বিচার ব্যবস্থার প্রতি তার বিশ্বাসকে নড়ে গিয়েছে এবং তিনি "চমকে গিয়েছেন" এবং অসাড় হয়ে গিয়েছেন। পরবর্তী কোনও আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থা পরিবারের নেই।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)