নিজস্ব প্রতিবেদন: স্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধে তোপ দাগল বিজেপি। শুক্রবার ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা প্রশ্ন তুলেছিলেন বালাকোটে বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্যাম পিত্রোদার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। শনিবার তাঁর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে স্যাম পিত্রোদার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরাসরি কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন।


অমিত শাহর দাবি, স্যাম পিত্রোদার ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। তাঁকে (রাহুলকে) ক্ষমা চাইতে হবে দেশের জনতা ও জওয়ানদের কাছে।


আরও পড়ুন: ৮ জনের জন্য গোটা দেশের ওপর ঝাঁপাতে পারি না: মুম্বই হামলা নিয়ে মন্তব্য কং নেতার


বিজেপির সভাপতির অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের সময় হওয়ায় কংগ্রেস তোষণের রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে।


প্রসঙ্গত, শুক্রবার জঙ্গি হামলা ও ভারতের প্রত্যাঘাত নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা। মুম্বই হামলা নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, আটজন এসে কিছু একটা করেছে। তার জন্য একটা গোটা দেশের ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত নয়। সেই কারণেই মুম্বই হামলার পর পাল্টা প্রত্যাঘাত করেনি।


আরও পড়ুন: দেশবাসী বিরোধীদের ক্ষমা করবে না, বালাকোট নিয়ে পিত্রোদাকে তুলোধনা মোদীর


অন্যদিকে বালাকোটে বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইকে ঠিক কত জন মারা গিয়েছে, সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন। পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন।


তার পর থেকে বিজেপির তরফ থেকে পাল্টা আক্রমণ শুরু হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্যাম পিত্রোদার বক্তব্যের সমালোচনা করেন। টুইটে তিনি মন্তব্য করেন, ''সেনাকে অপমান করে কংগ্রেস সভাপতির পরামর্শদাতা এখন পাকিস্তানের জাতীয় দিবসের উজ্জাপন শুরু করে দিয়েছেন।''


আরও পড়ুন: 'আপনার পরিবারের কেউ মরেনি', রাহুল-ঘনিষ্ঠ পিত্রোদাকে খোঁচা ২৬/১১-র গুলিবিদ্ধ তরুণীর


মোদী অভিযোগ করেন, বিরোধীরা বারবার সেনাকে অপমান করছে। দেশবাসীকে অনুরোধ বিরোধীদের প্রশ্ন করুন। ওদের বলুন, দেশের ১৩০ কোটি মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না। গোটা দেশ সেনার সঙ্গে রয়েছে।


শনিবারও প্রধানমন্ত্রীর সুরেই কংগ্রেস ও স্যাম পিত্রোদাকে আক্রমণ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর দাবি, দেশকে এখন লোকসভা নির্বাচনের দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আর এখন ভোটাররা দেশের সুরক্ষার বিষয়টিকে প্রধান ইস্যু মনে করছেন। এই পরিস্থিতিতে স্যাম পিত্রোদার এই মন্তব্য অত্যন্ত দুঃখজনক।


আরও পড়ুন: শহিদ ভগত্ সিংকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে বড় ভুল কংগ্রেসের


অমিত শাহর বক্তব্য, পুলওয়ামার ঘটনায় দেশবাসী বড় আঘাত পেয়েছে। সেই ঘটনাকে কংগ্রেস কীভাবে সাধারণ বলে মনে করছে, সেই প্রশ্নই তুলেছেন বিজেপির সভাপতি।


পাশাপাশি তিনি কংগ্রেসের কাছে জানতে চেয়েছেন যে পাকিস্তানের সঙ্গে কি সন্ত্রাসবাদের কোনও সম্পর্ক নেই? যদি সম্পর্ক থাকে, তাহলে দোষী কে, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক? এয়ার স্ট্রাইকের বদলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের কথা বলা হচ্ছে, তাহলে এটাই কি কংগ্রেসের নীতি?