ওয়েব ডেস্ক: মেয়েটিকে যখন মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে আনে পুলিস, তখনও ঘোর কাটেনি তার। এত কাছ থেকে মৃত্যুকে দেখার অভিজ্ঞতায় বিভোর ছিল জোধপুরের বছর সাতেরোর মেয়েটি। আত্মহত্যার কারণ জিজ্ঞাসা করলে শুধু তার একটাই কথা "এই টাস্ক না পূরণ করলে আমার মাকে মেরে ফেলবে।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী সেই টাস্ক? কারাই বা মারবে তার মা-কে?


এখন হয়ত আর বলতে অপেক্ষা রাখে না আদতে টাস্কটা কী? আত্মহত্যা, টাস্ক আর মেয়েটির হাতে খোদাই করা তিমির ছবি- সব কিছুই এক লহমায় ইঙ্গিত দিচ্ছে সেই মারণ খেলার। ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের শিকার হয়েছে সে। পুলিসের দাবিও এমনটাই।


আরও পড়ুন- নীল তিমির কামড় থেকে সন্তানকে রক্ষা করবেন কীভাবে, কী বলছেন চিকিৎসকরা?


ঘটনাটি ঘটে সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ। বাজার যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে স্কুটার নিয়ে বেরিয়েছিল ওই যুবতী। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও মেয়ের বাড়ি ফিরতে দেরী হওয়ায় চিন্তা বাড়তে থাকে বিএসএফ জওয়ান বাবার। বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। চিন্তা ক্রমশ বাড়তে থাকে পরিবারের। খুঁজতে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় পুলিসেও।


ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। পুলিস অফিসার লেখরাজ সিহাগ বলেন, "একটি মেয়েকে বেশ কয়েকবার লেকের সামনে স্কুটার নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছে। এত রাত্রে এ ভাবে মেয়েটির ঘুরে বেড়ানো অস্বাভাবিক লাগে। তাকে কোনও কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই ওই লেকে ঝাঁপ দেয় সে। "সিহাগ আরও জানান, সে ও ওম প্রকাশ নামে তাঁর ড্রাইভার মেয়েটিকে উদ্ধার করতে এক সঙ্গে ওই লেকে ঝাঁপ মারে।


আরও পড়ুন- দেশকে রক্ষা করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লেন গম্ভীর, কিভাবে জানেন..


মেয়েটিকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও রহস্য থেকে গিয়েছে কারা তার মা-কে মারতে চেয়েছিল। মেয়েটির হাতে ব্লু হোয়েল আঁকা আঁচড় পাওয়া গিয়েছে। তদন্তে নেমেছে জোধপুর পুলিস।


ব্লু হোয়েল এই মুহূর্তে বিশ্ব ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মারণ গেমের শিকার একশোর বেশি। বাদ নেই ভারতও। এই গেম আটকাতে পুলিস-প্রশাসন তত্পরতা দেখালেও এখনও অধরা ডার্ক ওয়েবের দুষ্কৃতিরা।