নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃক্ষ নিধনে সরগরম মুম্বই। বুলডোজার্সের সামনে দাঁড়িয়ে শুক্রবার দিনভর প্রতিবাদ জানালেন বিক্ষোভকারীরা। অ্যারে কলোনিতে মুম্বই মেট্রোর ‘কারশেড’ তৈরির জন্য বৃক্ষ নিধনের যে আয়োজন চলছে, তারই ব্যাপক প্রতিবাদ শুরু হয়েছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। এফআইআর হয়েছে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ জন সমাজকর্মীকে। আজই আদালতে তোলা হবে তাঁদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


এ ঘটনায় শিবসেনা নেত্রী প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীর অভিযোগ, পুলিস দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে অ্যারে কলোনি। আইন লঙ্ঘন না করলেও গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। রাতের অন্ধকারে বৃক্ষ নিধন করা হচ্ছে বলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। যদিও এই বিষয়ে আবেদনকারীরা মামলা করলে শুক্রবার খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতিরা জানান, সুপ্রিম কোর্ট এবং গ্রিন ট্রাইব্যুনালে মামলা চলায় এ বিষয়ে ‘নাক গলাতে’ চান না তাঁরা। আদালতে আবেদন  খারিজ হতেই গাছ কাটতে নির্দেশ দেওয়া হয় মুম্বই পৌরসভার তরফে।


আরও পড়ুন- এমবিএ, ভাল চাকরি করেন! তবু রোজ সকালে এক মহত্ উদ্দেশ্যে খাবারের দোকান খোলেন দম্পতি


বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কোনও নোটিস ছাড়াই রাতারাতি গাছ কাটা হচ্ছে অ্যারে কলোনিতে। এই অভিযোগ খারিজ করে পুরসভার দাবি, গাছ কাটা নিয়ে ১৫ দিন আগে নোটিস জারি করার খবর ভুয়ো। তবে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর নির্দেশ জারি করেন কর্তৃপক্ষ। হাই কোর্টের রায় আসার পরই তা কার্যকর করা হয়। সমাজকর্মীদের একাংশ বলছেন, রাতরাতি গাছ কাটার পিছনে অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। তাঁদের কথায়, মুম্বই পুরসভার তরফে গতকাল সন্ধে অফিসিয়াল ওয়েবাসাইটে নির্দেশ জারি করা হয়। রাতেই শুরু হয় গাছ কাটা। এই নিয়ে মামলা করলেও এই মুহূর্তে পুজো উপলক্ষে বন্ধ আদালত।  কিন্তু আদালত খোলা পর্যন্ত সময় পাওয়া যাবে কিনা নিশ্চিত নন সমাজকর্মীরা।