এমবিএ, ভাল চাকরি করেন! তবু রোজ সকালে এক মহত্ উদ্দেশ্যে খাবারের দোকান খোলেন দম্পতি

সকাল দশটার মধ্যে দোকানের কাজ সামলে ছোটেন অফিসে। কিন্তু এত পরিশ্রম কীসের জন্য! দুজনে যখন ভাল চাকরি করেন! ব্যবসা করার প্রয়োজনও নেই! তা হলে?

Updated By: Oct 4, 2019, 02:47 PM IST
এমবিএ, ভাল চাকরি করেন! তবু রোজ সকালে এক মহত্ উদ্দেশ্যে খাবারের দোকান খোলেন দম্পতি

নিজস্ব প্রতিবেদন : দুজনেই ভাল চাকরি করেন। দুজনের কেউই বাধা মাইনের বাইরে অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য ব্যবসায় নামেননি। ভোর চারটে থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত তবুও তাঁরা দোকানে থাকেন। মুম্বইয়ের কান্দিভালি স্টেশনের বাইরে রোজ খাবারের স্টলে দম্পতিকে দেখা যায়। হাসিমুখে খাবার দিচ্ছেন ক্রেতাদের। সকাল দশটার মধ্যে দোকানের কাজ সামলে ছোটেন অফিসে। কিন্তু এত পরিশ্রম কীসের জন্য! দুজনে যখন ভাল চাকরি করেন! ব্যবসা করার প্রয়োজনও নেই! তা হলে?

আরও পড়ুন-  নিজেই নিজেকে কবর দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন তেলেঙ্গানার কৃষক

অশ্বিনী শেনয় শাহ ও তাঁর স্বামী এক মহত্ উদ্দেশ্য নিয়ে রোজ দোকান চালান। তাঁদের সেই মহত্ উদ্দেশ্যের কথা কেউ জানতেই পারত না যদি না দীপালি ভাটিয়া নামের এক ফেসবুক ইউজার সেটা জানাতেন! দীপালি ভাটিয়া গান্ধী জয়ন্তীর সকালে ভাল খাবারের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সকাল সকাল তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন অশ্বিনী শাহ ও তাঁর স্বামীর ফুড স্টলে। সেখানে জমিয়ে খাওয়া দাওয়া সারেন দীপালি। তার পর কথা কথায় জানতে পারেন দারুণ এক ব্যাপার। এই ব্যস্ত শহুরে জীবনে পাশের বাড়ির মানুষের খোঁজ রাখার সময় নেই অনেকের। রোবোটের মতো আদেশ পালন করে চলা জীবনে আছে শুধু স্বার্থপরতা। নিজেরটুকু বুঝে নিলেই হল! অন্যের দুঃখ-দুর্দশার ভাগিদার হওয়ার দায় আমাদের নেই। কিন্তু সবাই একরকম নয়। কেউ কেউ এখনও অশ্বিনীদের মতো রয়েছে আমাদেরই আশেপাশে।

আরও পড়ুন-  ইডলি খাওয়ার প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন ৬০ বছরের প্রৌঢ়া! দেখুন ভিডিয়ো...

অশ্বিনী শেনয় শাহদের বাড়িতে যে ভদ্রমহিলা রান্না করেন তাঁর বয়স ৫৫ বছর। সেই মহিলার স্বামী পক্ষাঘাতে আক্রান্ত। এই বয়সে সেই মহিলা একাধিক বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। তাতেও সংসার ও স্বামীর খরচ চালিয়ে উঠতে পারছেন না। সেই ভদ্রমহিলার জন্যই অশ্বিনী ও তাঁর স্বামী এই স্টল খুলেছেন। ওই ভদ্রমহিলার রান্না করা সুস্বাদু খাবার স্টলে বিক্রি করেন অশ্বিনী ও তাঁর স্বামী। যাতে সেই মহিলাকে সাহায্য করা যায়। এই বয়সে এসে তাঁকে যেন আর টাকার অভাবে ভুগতে না হয়। অশ্বিনী ও তাঁর স্বামী, দুজনে মিলে ঠিক করেছিলেন সেই মহিলাকে এভাবে সাহায্য করবেন! যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ভোর চারটে থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত স্টল চালিয়ে দুজনেই চলে যান অফিসে। ব্যস্ততার মাঝেও মানবতাকে বিসর্জন দিতে পারেননি দুজনে। মানুষ বলে কথা! মনুষ্যত্ব হারালে চলে! 

.