‘ঐতিহাসিক অবিচার শুধরে নিতেই নাগরিকত্ব আইন’
প্রতিবেশী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেহরু-লিয়াকত চুক্তিতে দুদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার কথা বলা হয়েছিল
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের ওপরে অত্যাচার থেকে শুরু করে দলিতদের খ্যাপানের চেষ্টা, একের পর এক অভিযোগ তুলে সিএএ বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-পাক সংখ্যালঘুদের ভাগ্যে জোটে শুধুমাত্র সাফাইকর্মীর কাজ, বড়াই করে বিজ্ঞাপনও দেয় সেনা: মোদী
মঙ্গলবার দিল্লিতে এনসিসি-র এক অনুষ্ঠানে মোদী বলেন ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্যই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে বিরোধীরা। পাকিস্তানের মতো দেশে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সিদের ওপরে কী ধরনের অত্যাচার করা হয়ে তা দেখার চেষ্টাই করে না বিরোধীরা।
কিছু লোক এখন দলিতদের ত্রাতা সাজার চেষ্টা করছে। এরাই আবার পাকিস্তানের দলিতদের ওপরে অত্যাচারের কথা মুখে আনে না। ওরা জানেই না পাকিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যারা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে তাদের অধিকাংশই দলিত। বিরাধীরা অপপ্রচার করছে সিএএ পাস করানোয় গোটা বিশ্বে আমার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। কিন্তু অপপ্রচারকারিরা জেনে নিন, সুনামের জন্য আমি কাজ করি না। বরং দেশের সুনামের জন্য কাজ করি। যারা এখন সংবিধানের কথা বলছে তারা এক সময় সংবিধানের কথা মাথা থেকে সরিয়ে দিয়েছিল।
আরও পড়ুন-সরস্বতী ঠাকুর কিনে এনে, সাজিয়ে-গুছিয়ে, 'আত্মঘাতী' ১২ বছরের স্কুলপড়ুয়া!
প্রতিবেশী তিন দেশের সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ যখন স্বাধীন হয় তখন দেশের নেতারা দেশভাগ মেনে নিয়েছিলেন। নেহরু-লিয়াকত চুক্তিতেও দুদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার কথা বলা হয়েছিল। গান্ধীজিও একই জিনিস চেয়েছিলেন। তাই ভারতের করা প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য নাগরিকত্ব আইন পাস করা হয়েছে। সংখ্যালঘুদের প্রতি যে ঐতিহাসিক অন্যায় করা হয়েছিল তা শোধরানোর জন্যই এই আইন আনা হয়েছে।