এখনই কার্যকর হচ্ছে না CAA, আরও ৩ মাস সময় কেন্দ্রকে
এই আইন দেশে লাগু করতে গেলে একটি রুল তৈরি(Rule Frame) করতে হয়। দেশে কীভাবে নাগরিকত্আব সংশোধনী আইন লাগু হবে তার একটি রূপরেখা থাকে ওই রুলে
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশজুড়ে এখনই চালু হচ্ছে না এনআরসি (NRC)। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্র। একইভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনও(CAA) এখনই কার্ষকর করা হচ্ছে না। বরং তা কার্ষকর করার সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হল আরও ৩ মাস। কেন্দ্রের ওই সিদ্ধান্তে অনুমোদন সংসদীয় কমিটির।
আরও পড়ুন-একটা পাতা পড়লে বটগাছের কি কিছু আসে যায়? : Partha
করোনা অতিমারীর প্রভাব কমতেই এনআরসি(NRC), সিএএ(CAA) নিয়ে যে নাড়াচাড়া হবে তা খানিকটা প্রত্যাশিতই ছিল। তবে দেশের পাঁচ রাজ্যে ভোট আসন্ন। ফলে এনিয়ে কেন্দ্র ফের নাড়াচাড়া করবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন ছিলই। শেষপর্ষন্ত জানা গেল, সরকার আপাতত এর জন্য তৈরি নয়। দেশ তোলপাড় করা NRC নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অন্যদিকে, সিএএ লাগুর ক্ষেত্রে একটি বাধা থেকে এখনও এক কদম পিছিয়ে সরকার। কারণ সিএএ চালু করতে গেলে রুল তৈরি করতে হয়। তা এখনও করে উঠতে পারেনি সরকার। মঙ্গলবার কেন্দ্র জানিয়েছে, সিএএ কার্যকর করার সময়সীমা ছিল আগামী ৯ এপ্রিল। তা বাড়িয়ে করা হল ৯ জুলাই।
উল্লেখ্য, সংসসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন(CAA)। ওই আইনের বলে ধর্মীয়ভাবে অত্যাচারিত বাংলাদেশ,পাকিস্তান, আফগানিস্থানের সংখ্যালঘু মানুষরা ভারতের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এখন ওই আইন দেশে লাগু করতে গেলে একটি রুল তৈরি(Rule Frame) করতে হয়। দেশে কীভাবে সিএএ আইন লাগু হবে তার একটি রূপরেখা থাকে ওই রুলে। এটি তৈরির জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছিল। কমিটি সেই রুল এখনও তৈরি করে উঠতে পারেনি।
আরও পড়ুন-১২ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলতে পারে স্কুল, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস : Partha
আজ সংসদীয় কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, সিএএ লাগুর জন্য একটি রুল তৈরি করে তা লোকসভায় পাস করা হবে আগামী ৯ এপ্রিলের মধ্যে। অন্যদিকে, রাজ্যসভার ক্ষেত্রে ওই সময়সীমা ৯ জুলাই।
সিএএ লাগু করা নিয়ে বিভিন্ন ভাবে চাপ বাড়ছিল বিজেপির উপরে। বাংলায় প্রচারে এসে এনিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah) জানিয়েছিলেন, করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন এলেই এনিয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল তা আরও পিছিয়ে দিল সরকার। রাজনৈতিক মহলের আশঙ্কা, দেশের একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোটের মুখে সিএএ প্রণয়ন করা হলে তার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে। তাই এক কদম পিছু হঠল কেন্দ্র।