নিজস্ব প্রতিবেদন: চাই ২২ আসন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে বারংবার বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা গেল কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পাকে। রবিবার এক জনসভায় বিজেপি সভাপতি ইয়েদুরাপ্পা বলেন, লোকসভা নির্বাচনে ২২ টি আসন পেলে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যেও সরকার তৈরি করব আমরা। যদিও তাঁর এই মন্তব্যকে স্পর্ধা দেখানো বলতে নারাজ তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


প্রায়শই ইয়েদুরাপ্পার বিরুদ্ধে কংগ্রেস-জেডিএস-র দল ভাঙানোর অভিযোগ উঠেছে। এবং বরাবরই সেই অভিযোগ খারিজ করে দেন তিনি। কিন্তু, এ দিনের ইয়েদুরাপ্পার দাবিতে জোর জল্পনা শুরু হয়। তিনি বলেন, “এইচ ডি কুমারস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মেনে নিতে পারছেন না প্রায় ২০ জন কংগ্রেস নেতা।” তা হলে কি তাঁরা তলতলে বিজেপির সঙ্গে যোগ রাখছেন এমন আশঙ্কা শুরু হয়েছে কংগ্রেসের অন্দরে। উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে কংগ্রেসের বিধায়ক উমেশ যাদব বিজেপিতে যোগ দেন। উমেশের পাশাপাশি কংগ্রেসের বেশ কিছু বিধায়কের পাত্তা নেই বলে খবর।


আরও পড়ুন- সংস্থার বেহাল দশা, এখনো বেতন হয়নি BSNL-এর ১.৭৬ লক্ষ কর্মীর


কর্নাটকের কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের মধ্যে প্রায়শই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীকে বলতে শোনা গিয়েছে, জেনে শুনে বিষপান করেছি। গত বিধানসভায় ১০৪টি আসন জিতেও সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি। কর্নাটকের রাজ্যপাল ইয়েদুরাপ্পাকে প্রথম সরকার গড়ার প্রস্তাব দিলেও প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন তিনি। অন্য দিকে কংগ্রেস ৮০ এবং জেডিএস-বিএসপি জোট ৩৭টি আসন নিয়ে সরকার তৈরি করে। যদিও লোকসভায় ২৮টি আসনে ১৭টি দখল করে বিজেপি। ৯টি কংগ্রেস এবং ২টি আসন পায় জনতা দল সেকুলার।


বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করার পর জাতীয়াতাবাদে ঝড় তোলে বিজেপি। এই প্রেক্ষিতে ইয়েদুরাপ্পা বলেন,  সম্প্রতি বায়ুসেনার হামলায় নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। খুশি তরুণ প্রজন্ম। এই ঘটনা কর্নাটকে ২২টি আসন পেতে সাহায্য করবে বিজেপি। বিরোধীদের অভিযোগ, ইয়েদুরাপ্পার মন্তব্যে স্পষ্ট ভোটের ময়দানে সেনাকে ব্যবহার করছে বিজেপি। পরে অবশ্য, তাঁর মন্তব্য থেকে পিছিয়ে আসেন তিনি।