নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী কর্ণাটক নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। তাই এই মুহূর্তে কাবেরি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড নিয়ে কোনও কাজ করা সম্ভব নয়। কাবেরি জলবন্টন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকার পরই একথাই জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেণুগোপাল। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও, তামিলনাড়ুকে ৪টিএমসি কাবেরির জল ছাড়তে এখনই নারাজ কর্ণাটক। এই নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তামিলনাড়ু সরকার। তাদের অভিযোগ, বোর্ড গঠনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেরি করছে কেন্দ্র। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কোনও রাজ্যই একক ভাবে কাবেরি নদীর মালিকানা দাবি করতে পারে না। ১২০ বছরের কাবেরি জলবণ্টন সমস্যার রায় দিতে গিয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এ কথা জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি অমিতাভ রায় এবং বিচারপতি এএম খানউইলকরের ডিভিশন বেঞ্চ এই মালমার রায় দেয়। রায়ে বলা হয় তামিলনাডুর জন্য ১৭৭.২৫ টিএমসি কাবেরির জল ছাড়তে হবে কর্ণাটককে। সেই সঙ্গে কর্নাটক পাবে অতিরিক্ত ১৪.৭৫ টিএমসি জল। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে বেঙ্গালুরু অতিরিক্ত ৪ টিএমসি জল পাবে কাবেরি থেকে। তবে, ২০০৭-এর সিদ্ধান্ত অনুসারে কেরালা আগের মতোই ৩০ টিএমসি ও পুদুচেরি ৭ টিএমটি কাবেরীর জল পাবে।


আরও পড়ুন- বরাদ্দ কমল তামিলনাড়ুর, কাবেরীর জলের অধিকার বাড়ল কর্নাটকের


সাধারণ ভাবে কাবেরি দিয়ে ৭৪০ টিএমসি জল বয়ে যায়। ২০০৭ সালের একটি নির্দেশিকা অনুযায়ী ৭৪০ টিএমসি জলের মধ্যে তামিলনাড়ু এতদিন পর্যন্ত ৪১৯ টিএমসি জল পেত। কর্নাটক পেত ২৭০ টিএমসি জল, কেরালা পেত ৩০ টিএমসি ও পুদুচেরি পেত ৭ টিএমসি জল।


 



রায়দানের সময় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল কাবেরি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠন সংক্রান্ত খসড়া অবিলম্বে তৈরি করতে হবে। সেই সঙ্গে ৩১ মার্চের মধ্যে গঠন করতে হবে বোর্ড। এরপরই আদালত এই বোর্ড গঠনের জন্য ৩মে পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ায়। সেই সঙ্গে ৮মে কেন্দ্রকে এই সংক্রান্ত একটি হলফনামাও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। এই নির্দেশিকার পরই কেন্দ্রের তরফে আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগামী ১২মে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। সেখানেই প্রচারপর্ব সামলাতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী। ফলে মন্ত্রিসভায় কাবেরি ম্যানেজমেন্ট বোর্ড সংক্রান্ত খসড়া পেশ করা সম্ভব নয়। বৃহস্পতিবার আদালতকে এই মর্মেই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। কিন্তু, রাজনৈতিক প্রচারের কারণে কি প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে গ্রহণে দীর্ঘসূত্রীতা করা যায়, উঠছে প্রশ্ন।