নিজস্ব প্রতিবেদন : সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। কিছুদিন আগেই এনডিএ থেকে পাশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন হিসেবে। প্রথম পোস্টিং জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি সীমান্তে। তবে কাজের চাপ থাকায় ছুটি চেয়েও মিলছিল না। অবশেষে ঠিক হয়, ১০ ফেব্রুয়ারি মা ও দিদিদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করবেন। টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, রবিবার রাতের পর সব শেষ। নিজের ২৩তম জন্মদিনটা আর পালন করা হল না ভারতীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন কপিল কুন্ডুর। পাক সেনার গুলিতে শহিদ হয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মৃত্যু হয়েছে রাইফেলম্যান রামঅবতার, সুভম সিং ও হাবিলদার রোশন লালের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


২০১২ সালে জন্মদিনের দিন বাবাকে হারিয়েছেন তিনি। হরিয়ানার পতৌদি শহরে তারপর থেকে মা ও দিদিদের আদরেই মানুষ হয়েছেন কপিল। ছোট থেকেই স্বপ্ন, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। তাই মন দিয়ে লেখাপড়া করে সুযোগ পান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে। অবশেষে সেখান থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেন তিনি। ক্যাপ্টেন হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের রাজৌরি সেক্টরে। রবিবার সকাল থেকে সেই সেক্টর লক্ষ করে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে পাক রেঞ্জার্স বাহিনী। সংঘর্ষস্থলেই মৃত্যু হয় কর্মরত কপিল-সহ চার সেনা জওয়ানের।


আরও পড়ুন- রবিবারের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘনের জন্য উচিত্ শাস্তি পাবে পাকিস্তান : রাজনাথ সিং


ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে ভেঙে পড়েছেন কপিলের মা সুনিতা কুন্ডু। তিনি বলেন, ''ও(কপিল) কবিতা লিখতে ভালবাসত। অবসর সময়ে কবিতা লিখত নানা বিষয় নিয়ে।'' উল্লেখ্য, সম্প্রতি একটি কবিতা লিখেছিলেন কপিল। এক শহিদ সৈনিককে নিয়ে লেখা সেটিই ছিল তাঁর শেষ কবিতা। তবে, ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়লেও নিজের ছোট ছেলেকে ফের সেনাবাহিনীতে পাঠাতে তৈরি মা সুনিতাদেবী।


গত কয়েক বছরে ভারত সীমান্তে দফায় দফায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। তথ্য বলছে, ২০১৫ সালে ১৫২ বার, ২০১৬ সালে ২২৮ বার ও ২০১৭ সালে ৮৬০ বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে তারা। চলতি বছর এখনও পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভাবে ২৪০ বার সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান।