নিজস্ব প্রতিবেদন: দলিত সংগঠনগুলির দাবি মেনে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ খারিজ করতে সংসদে বিল পেশে সম্মতি দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। চলতি বছরেই দলিত নির্যাতন প্রতিরোধ আইনে তাত্ক্ষণিক গ্রেফতারির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযোগ ছিল, তপশিলি জাতি ও উপজাতির ওপর নির্যাতন বন্ধের আইনের অপব্যবহার করছে। আইনে কারও বিরুদ্ধে তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেফতার করত পুলিস। তাছাড়া এই আইনে সহজে জামিনও মিলত না। 


আইনে পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সরব হয় একাধিক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন। তাদের অভিযোগ, এই পরিবর্তনের ফলে দেশে দলিতদের ওপর নির্যাতন বাড়বে। এই নিয়ে দেশব্যাপী বনধ ডাকে দলিত সংগঠনগুলি। একই ইস্যুতে ফের আগামী ৯ অগাস্ট বনধ ডাক দেওয়া হয়েছে। তার আগেই আইন বদলে বিল আনতে ছাড়পত্র দিল মোদী সরকার। 


২০১৯ নির্বাচনের আগে দলিতদের সমর্থন বিজেপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এরই মধ্যে কেন্দ্রের ওপর চাপ বাড়িয়ে এই ইস্যুতে বিরোধীদের আন্দোলনে যোগদানের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মোদী সরকারের শরিক রামবিলাস পাসোয়ান। এদিনের সিদ্ধান্তের পর তিনি বলেন, 'এটা একটা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। মোদী সরকারকে ধন্যবাদ।' 


অমিতের সভা নিয়ে বিজেপির অভিযোগ ওড়াল পুলিস, হুঙ্কার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির


কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রস্তাবিত বিলটি সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনেই পাশ করা হবে বিলটি। 


তবে এই প্রসঙ্গে বিজেপির অবস্থান বদল নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর বিজেপির তরফে অবস্থান গ্রহণ করে জানানো হয়েছিল, এই রায়ে মোটেও লঘু হবে না তপশিলি জাতি ও উপজাতি আইন। তবে দলিত সংগঠনগুলির অভিযোগ ছিল, আদালতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে মামলা লড়েনি কেন্দ্রীয় সরকার।