নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতীয় ভাষা ও উপভাষা সংরক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করবে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে। হরিদ্বারের সাংসদ রমেশ পাখরিয়াল নিশঙ্ক ওই মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পরই জল্পনা আরও ত্বরাণ্বিত হয়। জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় হিন্দি সংস্থান আগ্রার প্রধান কার্যালয়ের তরফে ওই প্রস্তাব রাখা হয়। এরপর পাঠানো হয় মঞ্জুরি কমিশনে। ওই প্রস্তাব খতিয়ে দেখে মঞ্জুরি কমিশন পাঠায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


গত বছর নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক (আরএসএস)-এর সাধারণ বৈঠকে ভারতের আঞ্চলিক ভাষা ও উপভাষা সংরক্ষণের একটি প্রস্তাব পাশ হয়। মোদী সরকারের প্রথম পর্বে ওই প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি। নয়া শিক্ষা নীতির খসড়াও তত্কালীন মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের দফতরে জমা পড়ে। তবে, নিশঙ্কের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রক এ বিষয়ে তত্পর হতে চলেছে বলে সূত্রে খবর।


আরও পড়ুন- নির্মলা সীতারামনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ টুইট, তারপরই সোশ্যালে বেপাত্তা কংগ্রেসের স্পন্দনা


সাংসদ রমেশ পাখরিয়াল নিশঙ্ক আরএসএস পরিচালিত সরস্বতী শিশু মন্দির স্কুলে বেশ কিছু শিক্ষকতা করেন। ১৯৯০ সালে প্রথম নির্বাচনে লড়েন পাখরিয়াল। উত্তরাখণ্ডে প্রাক্তন মুখমন্ত্রী পাখরিয়ালের হাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক আসায়, আরএসএস-এর প্রস্তাব দ্রুত কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নয়া শিক্ষা নীতিতে হিন্দি বাধ্যতামূলক করায় দক্ষিণের রাজ্যগুলি প্রবল সমালোচনা করে। এমনকি এনডিএ শরিক এডিএমকে ও পিএমকেও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করেছে। অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু , তেলাঙ্গানা, কর্নাটক সরকার জানিয়ে দিয়েছে তাদের ভাষা ও ইংরেজি স্কুল পাঠ্যক্রমে প্রাধান্য পাবে। গোড়াতেই এমন ধাক্কায় কিছুটা পিছু হটে কেন্দ্র।