নিজস্ব প্রতিবেদন: চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমকে খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রয়েছে চেন্নাইয়ের কম্পিউটার প্রোগ্রামার ও পেশায় মেকালিকাল ইঞ্জিনিয়ার সন্মুগা সুব্রহ্মণ্যমের। স্বীকার করে নিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-টাকা লুঠ করতেই খুন, নিখোঁজ হওয়ার ১০ দিন পর নদী থেকে উদ্ধার হল ব্যবসায়ীর দেহ


মঙ্গলবার ভোরে ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করেছে নাসা। সেখানে একটি জায়গাকে ‘এস’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।  ওই জায়গাটিকেই নাসার প্রকাশ করা ছবি দেখে চিহ্নিত করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম।  টুইটে সেকথা লিখেওছে নাসা। নাসা কৃতিত্ব দেওয়ার পর নিজের টুইটার বায়ো বদলে ফেলেছেন সুব্রহ্মণ্যম। সেখানে লিখেছেন, ‘আমিই বিক্রমকে খুঁজে পেয়েছি’।




গত ১৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে বিক্রমের ভেঙেপড়ায় সম্ভাব্য জায়গাটির একটি ছবি প্রকাশ করে নাসা।  সেই ছবি একটি অংশকে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ বলে চিহ্নিত করেন সুব্রহ্মণ্যম। এনিয়ে গত ৩ অক্টোবর ও ১৭ নভেম্বর টুইট করেন তিনি। সেই দুই টুইটে তিনি নাসাকে ট্যাগও করেন।  প্রথম টুইটে তিনি লেখেন, ‘এটাই কি ল্যান্ডার বিক্রম!’। পরের টুইটে তিনি জোরাল ভাবে দাবি করেন, ‘এটাই বিক্রম ল্যান্ডারের ভেঙেপড়ার জায়গা হতে পারে।’


আরও পড়ুন-৬ ডিসেম্বর রাজ্যে কোনও অশান্তি বরদাস্ত করব না, পুলিস কর্তাদের সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা


নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাসার এলআরওসি ক্যামেরায় তোলা ছবি থেকে ধ্বংসাবশেষের জায়গাটি নিজের চেষ্টায় খুঁজে বের করেন সুব্রহ্মণ্যম।  যে জায়গায় বিক্রম ভেঙে পড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল তা থেকে ৭৫০ মিটার দূরে ওই ধ্বংসাবশেষটি খুঁজে পান তিনি। ওই দাবির পরই অনেক খোঁজাখুজির পর ধ্বংসাবশেষটি চিহ্নিত করেন নাসার বিজ্ঞানীরা।



উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে  অবতরণের (সফট ল্যান্ডিং) সময়ে চন্দ্রযান ২ এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে থাকাকালীন সংকেত পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। তখনই মনে করা হয়েছিল, চাঁদের বুকে কোথাও মুখ থুবড়ে পড়েছে বিক্রম। সবেমিলিয়ে সেখানেই শেষ হল ইসরোর অভিযান। কিন্তু তার পর থেকেই খোঁজ চলছিল বিক্রমের।