নিজস্ব প্রতিবেদন: জীবনে উত্থান-পতন আসতে থাকবে। সাহস হারাবেন না। আপনাদের পাশে রয়েছি আমি। চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের থেকে সংকেত বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিজ্ঞানীদের উত্সাহিত করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ল্যান্ডার রোভারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর দৃশ্যতই মুষড়ে পড়েন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু, তাঁদের হিম্মত না হারানোর টোটকা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিজ্ঞানীদের তাঁর বার্তা, সাহস হারাবেন না। জীবনে উত্থান-পতন থাকবে। সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আমি দেখছিলাম আপনাদের মুখ শুকিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আপনারা দারুণ কাজ করেছেন। দেশ গর্বিত। আবার যোগাযোগ শুরু হলে অনেক কিছু তথ্য আসবে বলে আশা করি। আপনারা দেশের সেবা করেছেন। সমগ্র মানব জাতি ও দেশের সেবা করছেন বিজ্ঞানীরা। 


আগামী দিনেও ভারত মহাকাশে বিক্রম দেখাবে বলেও উজ্জীবিত করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ''ভবিষ্যতে অভিযান করব। আমি আপনাদের পাশে। হিম্মত রাখুন।'' প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর হাততালি দিয়ে স্বাগত জানান বিজ্ঞানীদের। তখন মোদী বলেন,''আপনাদের সাহসে দেশ আরও আনন্দ করবে।'' 




পরে নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন,''বিজ্ঞানীদের নিয়ে গর্বিত ভারত। তাঁরা নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। এটা সাহসী মুহূর্ত। আগামী দিনেও সাহসীই থাকবে। চন্দ্রযান অভিযান নিয়ে তথ্য দিলেন চেয়ারম্যান। আমরা আশাবাদী। মহাকাশ কর্মসূচি নিয়ে কঠোর পরিশ্রম জারি থাকবে।''



চাঁদের মাটিতে ল্যান্ডার বিক্রমের স্পর্শের অপেক্ষায় ছিল গোটা দেশ। পূর্ব পরিকল্পনা মতো শনিবার বিক্রমের অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় রাত ১.৩৮ মিনিটে।  সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে যানের গতিবেগ কমিয়ে আনা শুরু হয় শূন্যে। সেই পর্যায়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরোর কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যানটির। রাত ২.২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। কী হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রমের? সেটা তথ্য বিশ্লেষণ করে বলা সম্ভব বলে মনে করছেন শিবন। 


আরও পড়ুন- শেষ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হল যোগাযোগ, বিক্রমের খোঁজে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা