শেষ মুহূর্তে বিচ্ছিন্ন হল যোগাযোগ, বিক্রমের খোঁজে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা
বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতেই উদ্বেগ ছড়ায় হাজির বিজ্ঞানী ও ইসরোর কর্মীদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে ছুটে যান ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চোখ মেলে চেয়ে ছিল প্রায় গোটা দেশ। মধ্যরাতে চাঁদের মাটিতে ভারতের বিক্রম দেখতে হাজির ছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর মিশন কন্ট্রোলের। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।
ভারতের থেকে বাংলাদেশির টাকার দর বেশি! মোদীর সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বেফাঁস সুরজেওয়ালা
পূর্ব পরিকল্পনা শনিবার রাত ১.৩৮ মিনিটে শুরু হয় বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে যানের গতিবেগ কমিয়ে আনা শুরু হয় শূন্যে। সেই লক্ষ্যে শুরু হয় হার্ড ব্রেকিং। নিখুঁত হার্ড ব্রেকিং পর্বের পর ফাইন ব্রেকিং পর্ব শুরু হতেই দেখা দেয় বিপর্যয়। সেই পর্যায়ে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ইসরোর কন্ট্রোল সেন্টারের সঙ্গে যাবতীয় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যানটির।
Communication lost with #VikramLander at 2.1 km from Lunar surface. #Chandrayaan2Landing pic.twitter.com/0bM5kJCBGC
— ANI (@ANI) September 6, 2019
বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতেই উদ্বেগ ছড়ায় হাজির বিজ্ঞানী ও ইসরোর কর্মীদের মধ্যে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পরিস্থিতির গুরুত্ব বোঝাতে ছুটে যান ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন।
রাত ২.২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
ইসরোর মিশন কন্ট্রেল ছাড়ার আগে সেখানে হাজির কর্মী ও বিজ্ঞানীদের সম্মোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এখনো সাফল্য অধরা থাকলেও আপনারা যা করেছেন সেটাই বা কম কী? আমি আপনাদের সঙ্গে আছি। হাল ছাড়বেন না। আপনাদের পরিশ্রমেই ফের আনন্দে মাতবে দেশবাসী।