মৌপিয়া নন্দী: ছত্তীসগঢ়ে গুলির লড়াইয়ে নিহত ২ মাওবাদী। সোমবার ছত্তীসগঢ়ের কাঙ্কেরে ডিআরজি(ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড) ও বিএসএফের একটি যৌথ বাহিনী কাদমে গ্রামে একটি অভিযান চালায়। সেই অভিযানেই নিহত হয় ওই ২ মাওবাদী। ওই গুলির লড়াইয়ে নিহত হয়েছে প্রতাপপুর এরিয়া কমিটির সেক্রেটারি ডি ভি সি দর্শন পাড্ডা ও নর্থ বস্তার ডিবিশনাল কমিটির স্মল অ্যাকশন টিমের ইনচার্জ জাগেশ সালাম। ওই দু'জনের কাছ থেকে বিপুল পুরিমাণ অস্ত্র, নথি উদ্ধার করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- চকোলেট তুলে নেওয়ার ছবি ভাইরাল করেছিল মল কর্মীরা, ভয়ঙ্কর কাণ্ড করল কলেজছাত্রী


সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ ছত্তীসগঢ় পুলিসের কাছে খবর আগে কাঙ্কেরের প্রতাপপুরে কাদমা ফরেস্টের কাছে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে  ২ মাওবাদী। তারপরেই কাঙ্কেরের ডিআরজি ও বিএসএফ যৌথভাবে অভিযান চালায়। কাদমেতে সন্দেহজনক জায়গাটি ঘিরে ধরতেই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। শেষপর্যন্ত যৌথ বাহিনীর গুলিতে নিহত হয় ওই দুই মাও নেতা। ছত্তীসগঢ় পুলিস সূত্রে খবর, নিহত মাওবাদীদের কাছে থেকে তাদের বহু মাওবাদী পোশাক, ৩১৫ বোরের রাইফেল, একটি এইট এমএম পিস্তল, ওয়াকিটকি সেট, ৫৭ হাজারের বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। রাজ্য পুলিস সূত্রে খবর, যে দুজন মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে তারা দুজনেই এলাকায় বেশ প্রভাবশালী।



ওই এনকাউন্টার নিয়ে বস্তারের আইজি পি সুন্দররাজ সংবাদমাধ্যমে বলেন, দুই মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বিপুল অস্ত্র-গুলি ও মাওবাদী নথি। বিএসএফ ও ডিআরজি আজ ওই অভিযান চালায়।


এদিকে গত ২৩ অক্টোবর মাওবাদীদের ৮টি মডিউলের পর্দাফাঁস করে রাজ্য পুলিস ও যৌথ বাহিনী। ওইসব মডিউলের মাধ্যমেই বস্তার অঞ্চলে মাওবাদীদের কাছে ওষুধ ও অস্ত্র-সহ অন্যান্য অনেক জিনিস পৌঁছে যেত। গত ২ বছর ধরে ওই কাজ করে আসছিল ওইসব মডিউল। সুকমা, বিজাপুর, কাঙ্কের, দান্তেওয়ারাতে কাজ করত ওইসব মডিউল। বস্তারের আইজি জানিয়েছেন, যারা নকশালদের বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতো তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত কয়েক বছরে আমারা ৪৩টি ক্যাম্প খুলেছি। ওইসব ক্যাম্পগুলি মাওবাদীদের নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে অনেকটাই কার্যকর হয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)