নিজস্ব প্রতিবেদন- চিনা সেনাবাহিনীর হাতে ভারতের কুড়ি জন জওয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছে গোটা দেশ। লাদাখের গালোয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সংঘাত-সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে ভারতের কুড়ি জন জন জওয়ানের মৃত্যুর খবর গোটা দেশে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। তবে জানা যাচ্ছে, ভারতের ওই কুড়ি জন সেনা গুলিতে বা বোমার আঘাতে মারা যাননি। বরং চিনা সেনা একটি বিশেষ ধরনের অস্ত্র দিয়ে তাদের লক্ষ্য করে আঘাত করতে শুরু করেছিল। প্রায় চার ফুট লম্বা একটি লোহার রডের উপরের দিকে দুফুট পেরেকের মতো কাটা লাগানো রয়েছে। সেগুলো দিয়েই ভারতীয় সেনার উপর চড়াও হয়েছিল চিনারা। অতর্কিত আক্রমণ এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না ভারতীয় সেনার জওয়ানরায


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভারত ও চীনের মধ্যে ৩৪৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু এই সীমান্তে দু'দেশের মধ্যে সংঘর্ষ হলে কখনো গোলাগুলি চলে না। উত্তেজনা প্রবল আকার ধারণ করলেও কোনও পক্ষই গুলি ছোড়ে না। অথবা গোলাবর্ষণ করে না। কিন্তু কেন! ১৯৯৬ সালে চিন ও ভারতের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী, লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোলের দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনও পক্ষই গুলি চালাবে না বলে সম্মতি দিয়েছিল। এমনকী ওই দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো রকম বিস্ফোরক ব্যবহার করা হবে না বলেো চুক্তিপত্রে লেখা রয়েছে। চিন ও ভারতের মধ্যে শেষবার বিবাদ হয়েছিল ১৯৭৫ সালে। সেবার অরুণাচলে চিনা বাহিনীর গুলিতে চারজন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছিলেন। এরপর দীর্ঘ ৪৫ বছর দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলেও বড় কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও পড়ুন- দেশজুড়ে করোনার থাবা থেকে সুস্থ রোগীদের একটি নির্দিষ্ট নিয়মেই হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করতে হবে : শীর্ষ আদালত


৪৫ বছর পর ফের ভারত-চীন সীমান্তে প্রবল উত্তেজনা। ১৯৬২ সালে সীমান্ত নিয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এরপর ১৯৬৭ ও ১৯৭৫ সালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সেবারই চারজন ভারতীয় সেনা চিনাদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। এরপর থেকে চিন-ভারত সীমান্তে আর কোনও ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। তবে এবার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। গুলি-বোমা দিয়ে আঘাত না করলেও চিনারা নতুন ধরনের অস্ত্র বের করেছে। তবে এরই মধ্যে চিনাদের সেই অস্ত্রের হাত থেকে বাঁচতে ভারতীয় জওয়ানদের বডি আর্মার দেওয়া হচ্ছে। ধারালো অস্ত্রের হাত থেকেও ওই বডি আর্মার ভারতীয় জওয়ানদের বাঁচাতে পারবে।