ডোকলাম ইস্যুর পর নজিরবিহীন দৃশ্য, ভারতের জওয়ানকে নয়া কৌশল শেখাচ্ছে চিনা সেনা
‘তাই চি’ এমন একটি শৈলী যা চিনা সংস্কৃতিতে খুবই জনপ্রিয়। শূন্যে শরীরের ভারসাম্য রাখতে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় চিনা সেনাদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বছর জুনে ডোকলামে টানা ৭৩দিন ভারত-চিন সেনা মুখোমুখি অবস্থানের পর বরফ এখন অনেকটাই গলেছে। সিকিমের নাথু লা সীমান্তে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমন চিনা সেনাদের ‘নমস্কার’ শিখিয়ে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছুটে গিয়েছেন বেজিংয়ে। চিনা প্রেসিডেন্ট জিন পিংয়ের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকে সেই সম্পর্কের ফাটল অনেকটাই মেরামতি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তার ফল মিলল সীমান্তে চিন-ভারত সেনার যৌথ প্রশিক্ষণে।
আরও পড়ুন- নীরব মোদি কোথায় আছেন! ভারতকে জানাল ব্রিটিশ সংস্থা
হ্যাঁ, এমনটাই নজিরবিহীন দৃশ্য দেখা গেল ভারত-চিন সীমান্তে। ভারতীয় জওয়ানকে ‘তাই চি’ শেখাচ্ছেন এক চিনা সেনা। ‘তাই চি’ এমন একটি শৈলী যা চিনা সংস্কৃতিতে খুবই জনপ্রিয়। শূন্যে শরীরের ভারসাম্য রাখতে এমন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় চিনা সেনাদের। সেই কৌশলই শিখে নিচ্ছেন এক ভারতীয় জওয়ান। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই মন জয় করে নেয় নেটিজেনদের। অনেকেই বলছেন, দুই দেশের সেনার এমন ‘সৌভ্রাত্র’ মনোভাবে বোঝাই যায় না, বছর খানেক আগে যুযুধান অবস্থায় ছিল তারা।
আরও পড়ুন- নাথু লায় নাগাড়ে তুষারপাত, আটকে পড়া ২৫০০ পর্যটককে উদ্ধার করল সেনা
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে জুনে ডোকলামে চিনা সেনার আগ্রাসন নীতির জেরে বিস্তর জলঘোলা হয় ভারত-চিন সম্পর্কে। ডোকলামে চিন রাস্তা তৈরি করায় ভারতের শরণাপন্ন হয় ভুটান। এর পর টানা ৭৩ দিন মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছিল দুই সেনা। পরে সমঝোতার মধ্যে পিছু হটতে হয় চিনকে। চিনা প্রেসিডেন্ট জিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে, ভারত বরাবরই আলোচনার পথে হাঁটলেও, ডোকলামে রাস্তা তৈরির কাজ চিন বন্ধ করেনি বলে এমন অভিযোগ বারবার উঠে এসেছে।