নিজস্ব প্রতিবেদন: নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, দেশের নিপীড়িত মানুষদের জন্য পাস করা হয়েছে নাগরিকত্ব আইন। তাকে সম্মান করুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শীতের প্রকোপ রাজ্যজুড়ে, উত্তুরে হাওয়া জারি থাকবে শহরে


দিল্লির ৪০ লাখ মানুষকে ঘর দেওয়া থেকে শুরু করে কেজরিওয়াল সরকারকে বিঁধলেন মোদী। তার পরেই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সরব হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শোষিত, নিপীড়িত মানুষদের জন্য এই বিল পাস করিয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভা। গণতন্ত্রের এই মন্দিরকে দাঁড়িয়ে সম্মান করুন। যাঁরা এই বিল পাস করিয়েছেন তাঁদের সম্মান করুন। কিন্তু এনিয়ে মিথ্যে প্রচার করছে বিরোধীরা। দিল্লিতে ঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউকে তাদের ধর্ম কী তা জানতে চাওয়া হয়েছিল! হয়নি। তাহলে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে এখন কেন প্রশ্ন উঠছে।



প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ৩৩০০০ পুলিস জীবন বলিদান দিয়েছেন। তারা কি ধর্ম দেখে শহিদ হয়েছে। বিগত সরকারের আমলে এই পুলিসই ছিল অন্য সরকারের অধীনে। তারা কি এই সরকারের আমলে বদলে গেল! মানুষকে ভুল বুঝিয়ে পুলিসের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একে সমর্থন করেন! ভেবে দেখুন।


আরও পড়ুন-মানি ব্যাগ বাঁচিয়ে দিল জীবন! বিক্ষোভ সামলে আসার পর উর্দি খুলে অবাক জওয়ান


নাগরিকত্ব আইন দেশের কোনও মানুষের জন্যই নয়। তা সে হিন্দুই হোক বা মুসলমান। একথা সংসদে বলা হয়েছে। দেশের ১৩০ কোটি মানুষের জন্য নয়। দ্বিতীয়ত এনআরসি। কংগ্রেসের আমলে তৈরি হয়েছিল। আমরা তো বানাইনি। তাহলে আমাদের দোষ দেওয়া হচ্ছে কেন! বাচ্চাদের মতো করে বোঝানো হচ্ছে। আগে দেখুন এনআরসি নিয়ে কিছু হয়েছে কি! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এনআরসি হচ্ছে। আমরা একটা কথাও বলিনি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহরের কিছু মানুষ ও নকশালরা রটাচ্ছেন দেশের মুসলিমদের ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে। কিন্তু যে কোনও একজনকে প্রশ্ন করুন কোথায় রয়েছে ডিটেনশন সেন্টার! বলবে সবাই বলছে তাই শুনছি। এসব কংগ্রেস ও আরবান নকশালদের প্রচার।


.