নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না বলে হুঙ্কার দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জবাব রাজ্যসভায় দিলেন অমিত শাহ। স্পষ্ট জানালেন, বাংলা তো বটেই, গোটা দেশেই হবে এনআরসি। একইসঙ্গে এদিন অমিত আশ্বাস দিয়েছেন, স্বাধীনতার পর থেকে, ২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলায় আসা সব উদ্বাস্তু হিন্দুই বিনা প্রশ্নে নাগরিকত্ব পাবেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে জবাবি ভাষণ দেন অমিত শাহ। তারপর সব সাংসদদের প্রশ্ন করতে ১ মিনিট সময় দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তখনই রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত প্রশ্ন করেন, একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআরসি হবে না বলে দাবি করেছেন। উনি কি আটকাতে পারেন? একেবারে স্বকীয়ভঙ্গিতে অমিত শাহের জবাব, আপনি স্বপন দা অত্যন্ত বিনয়ী। নাম না নিয়ে ভদ্রতা দেখাচ্ছেন। খুলে বলতে পারছেন না। তবে আমি স্পষ্ট করে দিই, বাংলা-সহ গোটা দেশেই হবে এনআরসি।        


২০২১-এ বিজেপির লক্ষ্য বাংলা। নাগরিকত্ব বিলকে সামনে রেখে সব উদ্বাস্তু হিন্দু ভোট ঝুলিতে পুরতে চাইছে তারা। আগে সিএবি, পরে এনআরসি। তৃণমূলের ভোট
ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরানই এখন গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য। লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও, সেটা বুঝিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলেন,''২০১৪-র ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলায় আসা সব উদ্বাস্তু হিন্দুই শর্তছাড়াই পাবেন নাগরিকত্ব।''


এনআরসি নিয়ে রাজ্যের মানুষের একাংশের মনে আতঙ্ক রয়েছে। সেই সুযোগ নিয়ে তিন বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করেছে তৃণমূল। কিন্তু, নাগরিকত্ব বিল মতুয়া সমাজের ওপর কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে চিন্তা আছে ঘাসফুল শিবিরে। মোদী সরকার, উদ্বাস্তু হিন্দুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার নামে, বিভাজনের রাজনীতি করছে বলে সরব তারা।



বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না বলে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরসি নিয়ে চড়া স্বরে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। পাল্টা ছক কষছে গেরুয়া শিবিরও। গোটা দেশে সিএবি, গোটা দেশে এনআরসি। খাতায়-কলমে এটা বলা হলেও বিধানসভা ভোটের আগে আসলে ব্যাটেলগ্রাউন্ড বাংলা।       


আরও পড়ুন- রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে আসায় নাগরিকত্ব নয়, বিরোধীদের জবাব অমিতের