নিজস্ব প্রতিবেদন : শ্মশানেই মার মার কাট কাট অবস্থা। সাংসারিক অশান্তি বোধ হয় একেই বলে! শ্বশুরমশাইয়ের মৃতদেহ সত্কার করবেন কে, তা নিয়ে ধুন্ধুমার বেঁধে গেল দুই পুত্রবধূর মধ্যে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে দেখে পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনরা পুলিসে খবর দেন। শেষমেশ পুলিসি পাহারায় বৃদ্ধের মৃতদেহ সত্কার হয়। কিন্তু তার পরও চলতে থাকে দুই বউয়ের যুদ্ধ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিত্তোরগড়ের ঘটনা। হাসপাতালে বৃদ্ধের মৃত্য়ুর পর তাঁর সত্কার কে করবে, তা নিয়ে লড়াই শুরু করে দেন দুই বউ। বড় বউ দাবি করেন, তিনিই শ্বশুরমশাই অসুস্থ থাকার সময় তাঁর সেবা করেছিলেন। ছোট বউ শ্বশুরমশাই অসুস্থ হওয়ার পর ফিরেও তাকাননি। ফলে ছোট বউকে সত্কারের অধিকার দিতে নারাজ বড় বউ। এদিকে, ছোট বউও দমে যাওয়ার পাত্রী নন। তিনি শ্বশুরমশাইয়ের সত্কারের অধিকার পেতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। শেষমেশ হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিস। আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিস অফিসাররা। তাতে তাঁরা জানতে পারেন, গত দশ বছর ধরে বড় বউ শ্বশুরমশাইয়ের সেবা করেন। ছোট বউ কখনও শ্বশুরমশাইয়ের দেখাশোনা করেননি।


আরও পড়ুন-  মানি ব্যাগ বাঁচিয়ে দিল জীবন! বিক্ষোভ সামলে আসার পর উর্দি খুলে অবাক জওয়ান


বৃদ্ধের মৃত্যুর পর সম্পত্তির লোভে ছোট বউ এসে সত্কারের অধিকার চাইছে বলে দাবি করেন বড় বউ। তদন্তের পর পুলিস বড় বউকে সত্কারের অধিকার দেয়। আর তার পরও ধুন্ধুমার বাঁধিয়ে দেন ছোট বউ। ঝামেলা গড়ায় শ্মশান পর্যন্ত। এর পর ছোট বউ লোকজন জমা করে হই হট্টগোল শুরু করে দেয়। ভিড় ঠেকাতে পুলিস কার্যকর হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত বড় বউ বৃদ্ধের সত্কার করেন।